‘আপনারা ওকে নিয়ে যা খুশি করুন, দয়া করে ওর দেহ আমাদের দেবেন না’

আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের গ্রেফতারির পর থেকে কার্যত বিধ্বস্ত তার পরিবার। অভিযুক্তের বৃদ্ধা মা আগে থেকেই ছেলের কীর্তিতে বিস্মিত। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের ২ দিদিও ভাইয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে নারাজ। এই অবস্থায় তাঁদেরই একজন জানালেন, ফাঁসি হলে ভাইয়ের দেহ ফেরত নেব না।আরও পড়ুন - সঞ্জয় যেন ধনঞ্জয় না হয়, আরজি করের অভিযুক্তের প্রতি সমবেদনার সুর মমতার মন্ত্রীর গলায়পড়তে থাকুন - ‘চার বার মদ্যপানের পর ২ বার যৌনপল্লি ঘুরে এসে কারও দেহে খুন করার শক্তি থাকে?’ সঞ্জয় রায়ের ২ দিদি পুলিশে কর্মরত। দিদিদের প্রভাবেই ভাইয়ের এই বাড়বাড়ন্ত বলে দাবি অনেকের। কিন্তু তা মানতে নারাজ তাদেরই একজন। সংবাদমাধ্যমকে ফোনে তিনি জানিয়েছেন, ‘ওকে নিজের ভাই বলে পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগে। ওর এত কুর্কীতি যে বাধ্য হয়েই আমরা ওর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখিনি। ’ ভাইয়ের কঠরোতম শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আরজি করে ও যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে ওর কঠোরতম শাাস্তি হওয়া উচিত। তবে সকলের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা ওকে নিয়ে যা খুশি করুন। দয়া করে ওর দেহ আমাদের দেবেন না। আমরা নেব না। কারণ, এমন মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা যায় না।’আক্ষেপের শেষ নেই সঞ্জয়ের মা মালতিদেবীরও। ছেলে মেধাবী ছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, টিভিতে ছেলের সম্পর্কে কত কিছু শুনছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, ছেলে আমার এমন ছিল না। ছোট থেকেই ক্লাসে টপার ছিল! কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল! ওকে কেউ ফাঁসিয়ে দিতে পারে।’আরও পড়ুন - সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে লেখা ‘la ilaha illallah’, উত্তেজনা কোচবিহারেশনিবার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি উঠেছে দেশজুড়ে।