পচা গলা দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল নিউটাউনে। জ্যোতিনগরে এক ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক মহিলার পচাগলা দেহ। দুর্গন্ধের জেরে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে স্থানীয়দের মধ্যে। সেই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে এই দেহ। মৃত মহিলার নাম পম্পা দাস। বয়স আনুমানিক তিরিশের কোঠায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কীভাবে মহিলার মৃত্যু হল তা ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিল লালগোলার ছাত্র, দেহ ভেসে উঠল পদ্মায়, ফেরাল BGB
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পম্পা একাই থাকতেন ওই ভাড়া বাড়িতে। স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, এই মহিলা কাউকেই তেমনভাবে চিনতেন না। তাঁর পেশা বা কাজকর্ম নিয়েও কারও কাছে নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই। রবিবার বিকেলে প্রতিবেশীদের কয়েকজন জানান, কয়েক দিন ধরেই বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। কেউ কেউ প্রথমে বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। তবে গন্ধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয়। তখনই আশপাশের বাসিন্দারা মিলে বিষয়টি নিউটাউন থানায় জানান। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে, এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ ঝুলছে ঘরের মধ্যে। দেহের অবস্থা দেখে স্পষ্ট, বেশ কয়েক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে।
এই মৃত্যু কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশের একাংশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও, খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে, একজন একাকী মহিলার ঘর থেকে এভাবে দেহ উদ্ধার হওয়া স্বাভাবিক সন্দেহের তালিকায় খুনকেও রাখছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ফরেনসিক টিম এসে ঘরের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে। জানা যাচ্ছে, পম্পা উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটের বাসিন্দা। পুলিশ ইতিমধ্যেই পম্পা দাসের বাড়িতে খবর পাঠিয়েছে।