নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের ছাত্র। তিন দিন পর উদ্ধার হল তার দেহ। তবে দেহ পাওয়া গেল সমান্তের ওপারে বাংলাদেশে। ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর বুধবার বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি দেহ তুলে দেয় বিএসএফের হাতে। মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা মৃত ছাত্রের নাম সামিরুল সেখ। পরে বিএসএফের পক্ষ থেকে ছাত্রের মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারের হাতে ।
আরও পড়ুন: ২ বন্ধু ভেসে যায় জোয়ারে, তাদের বাঁচাতে গঙ্গায় ঝাঁপ মারে কিশোর, তলিয়ে গেল তিনজনই!
জানা গিয়েছে, সামিরুল লালগোলা থানার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা। রঘুনাথগঞ্জ থানার ওমরপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের আবাসিক ছাত্র ছিল সামিরুল। স্কুলে গরমের ছুটি চলছিল। সেই কারণে ছুটিতে বাড়ি এসেছিল সামিরুল। রবিবার দুপুরে সুইটি শেখ এক বন্ধুর সঙ্গে খান্দুয়ার পদ্মায় স্নান করতে গিয়েছিল সামিরুল। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। স্নানে নেমে তলিয়ে যায় দুই বন্ধু। ঘটনায় সুইটি শেখকে উদ্ধার করা গেলেও সামিরুলকে উদ্ধার করা যায়নি। ডুবড়ি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি বিএসএফের পক্ষ থেকেও চালানো হয় তল্লাশি অভিযান। সোমবার দিনভর অভিযান চালানো হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের হাকিমপুর ও বালিগ্রামের মধ্যবর্তী পদ্মায় সামিরুলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে।
জানা গিয়েছে, মৎস্যজীবীরা সামিরুলের দেহ উদ্ধার করে। তাঁরা স্থানীয় থানার পুলিশকে খবর দেন। এদিকে, বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে বুধবার বিকেলে চরডাঙাপাড়া এবং খান্দুয়ার মধ্যবর্তী জিরো পয়েন্টে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর ওই ছাত্রের দেহ বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। জানা গিয়েছে, রাজশাহি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। বিএসএফ এবং বিজিবি দুপক্ষই প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও ছবি আদানপ্রদান করে। দুপুর ১টা নাগাদ মৃতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিএসএফ ও পুলিস জিরো পয়েন্টে যায় সেখানে তার মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। দেহ ফিরে পাওয়ার জন্য বিএসএফ এবং বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও নদীতে ভেসে যাওয়া বহু ভারতীয়র দেহ ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।