কালীঘাটের কাকুকে নিজেদের হেফাজতে চাইল না সিবিআই, অনুমতি মিলল কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। ইডির মামলায় ফাঁক গলে বেরিয়ে গেলেও সিবিআই কড়া হাতে তাঁকে ধরেছে। হ্যাঁ, তিনি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এবার এই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে সিবিআই। আজ, শনিবার বিশেষ সিবিআই আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করল। তার জেরে চাপে পড়ে গেল কালীঘাটের কাকু। তবে সিবিআই আজ আবেদন করে যে, তারা কালীঘাটের কাকুকে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায় না। তাই কালীঘাটের কাকুকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। অর্থাৎ দুটি ক্ষেত্রেই আদালত সিবিআইয়ের দাবি মেনে নিয়েছে।কিন্তু সুজয় ভদ্রকে কেন সিবিআই নিজেদের হেফাজতে রাখতে চাইছে না? এই প্রশ্নই বড় আকার নিয়েছে। আজ সিবিআইয়ের আইনজীবী সন্দীপ চৌধুরী আদালতে জানান, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এমনকী ওষুধ খেতে চাইছেন না। এটা করতে থাকলে বিপদে পড়বে সিবিআই। তাই তাঁর রক্তে শর্করার সমস্যা বৃদ্ধি হচ্ছে। আজ শনিবার আদালতে এই তথ্যই তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। তাই তাঁকে আর হেফাজতে নিতে চাইছে না সিবিআই। ২০২৩ সালের ২৩ মে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।আরও পড়ুন: ‘আমার ওয়ার্ডকে ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা করুন’, মেয়রের কাছে আর্তি কাউন্সিলরেরতবে এই কালীঘাটের কাকু নিয়োগ দুর্নীতির অনেক কিছু জানেন বলে দাবি করেছে সিবিআই। ইডি গ্রেফতার করলেও দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও টানাপোড়েন কম হয়নি। অবশেষে ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এবার সিবিআই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেল। এই কণ্ঠস্বরের মিল যদি মেলে তাহলে কালীঘাটের কাকুর আর রক্ষে নেই। সেটা তিনিও বিলক্ষণ জানেন। গত মঙ্গলবার মাঝরাতে সুজয়কৃষ্ণকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। আজ শনিবার তাঁর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই আবার বিচার ভবনে সুজয়কৃষ্ণের মামলা ওঠে।এছাড়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য সওয়াল করেন। তবে সেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। আপাতত কালীঘাটের কাকুকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সিবিআই আদালতে সিবিআই আইনজীবী সন্দীপ চৌধুরী বলেন, ‘গত চারদিন অনশনে করেছেন সুজয় ভদ্র। খাবার, ওষুধ কিছুই খাননি। তাই বাড়ছে সুগারের লেভেল। উনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জানেন অনশন করলে সমস্যার অন্যরকম সমাধান হয়। অনশন করে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি তৈরির চেষ্টা করছেন। তাই হেফাজতে চাইছি না।’ এই মামলায় অনেক সরকারি অফিসারের নামও উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই। সুজয়কৃষ্ণ তাঁদের নাম বলছেন না।