পশ্চিম মেদিনীপুরে শিক্ষক বদলিতে টাকা চাওয়ার অভিযোগে CID-র DIG-কে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক বদলিতে টাকা আদায়ের পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে ১ মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন বিচারপতি।পশ্চিম মেদিনীপুরের মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের শিক্ষক গণেশ রজকের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তিনি যেখানে কর্মরত, সেই মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ হাইস্কুলের তরফে তাঁকে নো অবজেকশ সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করা হয়। এর পর তিনি স্কুলের পরিচালন কমিটির এক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই ব্যক্তি গণেশবাবুর কাছে বদলির NOC-র জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ।বুধবার এই মামলার শুনানিতে এজলাসে ওই ব্যক্তির সঙ্গে শিক্ষকের কথোপকথনের অডিয়ো রেকর্ডিং বাজিয়ে শোনান মামলাকারীর আইনজীবী। এর পরই বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে ঘটনাটি সিআইডির ডিআইজিকে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করতে হবে। অডিয়ো রেকর্ডিং সত্যি হলে শিক্ষক বদলিতে টাকা চাওয়ার পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানাতে হবে ডিআইজি সিআইডিকে।ওদিকে শিক্ষকদের একাংশের দাবি, রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে তৃণমূল যে ব্যাপক হারে দুর্নীতি ঢুকিয়েছে তার জ্বলন্ত নিদর্শন এই ঘটনা। বদলির জন্য শিক্ষকদের হয়রানি কমানোর নামে গালভরা পোর্টাল খোলা হলেও নিজেদের মতো করে টাকা তোলার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা।