লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত অনেক তথ্য আগেই ইডিকে জানাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই সংস্থার ছ’জন ডিরেক্টরের নাম থেকে শুরু করে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ, সংস্থার লেনদেন, কারা ক্লায়েন্ট, তাঁদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সিইও অভিষেকের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ জানাতে বলা হয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট
ইডি দফতরে গিয়ে বিস্তর নথি দিয়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আয়ের উৎস জানতে ইডিকে প্রশ্ন করে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী সেসব জানাতে হবে একটি মুখবন্ধ খামে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আজ, বৃহস্পতিবার মুখবন্ধ খামে সব তথ্য জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কতটা জড়িত আজ তার রিপোর্ট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওই রিপোর্ট জমা পড়েছে। এই রিপোর্ট দেখার পরই তিনি পরবর্তী নির্দেশ জানাবেন।
এদিকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত মামলায় ইডি’র আইনজীবীকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন বিচারপতি। এমনকী উত্তর জানতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার ডিরেক্টরের নথি জমা দেয় ইডি। সে কথা আদালতকে জানিয়ে দেন আইনজীবী। তখনই বিচারপতি জানতে চান, ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর আয়ের উৎস কী? সেটা জানাতে হবে। ইডি তখন তলব করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। অভিষেক নিজে গিয়ে ইডি দফতরে নথি দিয়ে আলেন।
অন্যদিকে ইডি কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়ে দেয়, লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিইও ৫,৫০০ পাতার নথি জমা দিয়েছেন। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘যে নথি এসেছে তা থেকে নিশ্চিত, কোনও কিছু গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’ তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে সেটা কি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে? যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন হয়েছে সেটা কি খুঁজে দেখেছেন আপনারা? কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস খুঁজে দেখেছেন? আইন আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে। এটাই তো আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’ তখন চাপে পড়ে ইডি।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত অনেক তথ্য আগেই ইডিকে জানাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই সংস্থার ছ’জন ডিরেক্টরের নাম থেকে শুরু করে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ, সংস্থার লেনদেন, কারা ক্লায়েন্ট, তাঁদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সিইও অভিষেকের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ জানাতে বলা হয়েছিল। এমনকী তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি জানাতে বলা হয়েছিল। তখন অভিষেকের কাছে নথি চাওয়া হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৫০০ পাতার নথি ছিল তাতে। আজ বৃহস্পতিবার ইডি সেই নথি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিল কলকাতা হাইকোর্টে। ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।