দুটি মামলা করা হয়েছিল। আর তা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই মামলা দুটি করে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কল্যানীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। তারপর তা গড়াচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু এবার দায়ের করা ওই দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন মুকুল রায়কে পিএসি’র মাথায় বসিয়েছিল রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন তুলেই মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু সময় যত কেটেছে তত পরিস্থিতি পাল্টেছে। সেক্ষেত্রেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপির টিকিটে জিতলেও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তার পরই জুটেছিল বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দায়িত্ব। মুকুল রায়কে বসিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যা একেবারে না–পসন্দ ছিল শুভেন্দু অধিকারী এবং অম্বিকা রায়ের। তাই মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু কালের গতিতে দেখা যায়, মুকুল রায় অসুস্থ হয়ে এখন বাড়িতে শয্যাশায়ী। পিএসি’র দায়িত্বেও নেই। সেখানে চলে এসেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। সুতরাং শুভেন্দু ও অম্বিকা রায়ের মামলার আর কোনও যৌক্তিকতা নেই। এখন কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ওই দুটি মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: নিবিড় সমন্বয় করে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে, বিএসএফ–বিজিবির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত
তাহলে কি ওই মামলা আর হবে না? জানা গিয়েছে, দ্রুতই ওই দুটি মামলার শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ ধার্য করা হবে। তখন সেখানে মামলাটির শুনানি হতে পারে। মুকুল রায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জিতেছিলেন। তারপর ওই বছরেরই ১১ জুন ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে সদলবদলে তৃণমূল ভবনে এসে পুরনো দলে ফেরেন। আর তাঁকেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। এটাই মেনে নিতে পারেননি দুই বিজেপি বিধায়ক। তার জেরেই মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে।