অঙ্কিতা অধিকারীকে ৪৩ মাসের বেতন–বাবদ কয়েক লক্ষ টাকাও ফেরত দিতে হয় ববিতা সরকারকে। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুতরাং তিনি সমস্ত নথি খতিয়ে না দেখে কেন এমন রায় দিলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।
ববিতা সরকার। নিজস্ব চিত্র
চাকরির নির্দেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তার ভিত্তিতে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুল শিক্ষকতার চাকরি কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয়েছিল ববিতা সরকারকে। এবার তাঁর আবেদনের বৈধতা নিয়েই বিস্তর প্রশ্ন উঠে গেল। এই চাকরির ‘বৈধতা’ নিয়েই প্রশ্ন ওঠায় নিজেই আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ববিতা সরকার।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? কয়েকদিন আগে অভিযোগ ওঠে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) কাছে আবেদন করার সময় ববিতা সরকারের স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। তার জেরে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদনের সময়ই নিজের স্নাতকস্তরের নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ববিতা সরকার। ফলে বাড়তি নম্বরের সুবিধায় র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে চাকরি পেয়েছেন ববিতা। এই নিয়ে আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর আবেদন গ্রহণও করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলে খবর।