বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি টাকা 'নয়ছয়', প্রাক্তন উপাচার্যকে তলব করল সিআইডিবর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিক্সড ডিপোজিটের কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই ঘটনায় তদন্ত করছে সিআইডি। জাল সইয়ের মাধ্যমে সেই টাকা তোলা হয়েছে কিনা তাই নিয়ে জোরালো হচ্ছে সন্দেহ। এবার সেই কারণেই সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার সৌগত চক্রবর্তী। শুক্রবার সকালে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় বর্ধমানের সিআইডি কার্যালয়ে। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে জেরা। (আরও পড়ুন: গলায় কামড়, যৌনাঙ্গে ক্ষত, সামনে এল কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে সামনে শিউরে ওঠার মতো বর্ণনা, ৩ঘণ্টা ২০ মিনিটে কী কী ঘটে
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবনিকেশ ঘিরে যে আর্থিক গরমিল, তা আগেই উঠে এসেছিল আলোচনায়। তদন্তের শুরুতেই সিআইডি জেরা করেছিল প্রাক্তন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহাকে। তিনিই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ফিনান্স অফিসার এই সংক্রান্ত মূল তথ্য রাখেন। সেখান থেকেই সৌগতবাবুকে ডাক সিআইডির। তদন্তে উঠে এসেছে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক একটি চিঠি পাঠায়। ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানোর বিস্তারিত তালিকা ছিল তাতে। সেই চিঠি পেয়ে ফিনান্স অফিসার কোনও ব্যবস্থা কেন নেননি? এই প্রশ্নে চাপে পড়েন তিনি। জবাবে দাবি করেন, এমন কোনও চিঠির কথা তিনি জানতেন না। চিঠি নাকি ‘রিসিভ সেকশন’-এ গিয়ে আটকে গিয়েছিল! (আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে রয়েছে সাক্ষী, দাবি নির্যাতিতার, কে সেই ব্যক্তি?)
তবে এখানেই শেষ নয়। সৌগত চক্রবর্তী সিআইডিকে বলেন, তাঁর ও রেজিস্ট্রারের সই নকল করে টাকা তোলা হয়েছে। যদিও ব্যাঙ্কের এসএমএস কোন ফোনে গিয়েছিল, সেই তথ্য তিনি এড়িয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিভাগের কর্মী ভক্ত মণ্ডলের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগের প্রশ্নও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে তদন্তে সিআইডি থামছে না এখানেই। এবার ডাকা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সুজিতকুমার চৌধুরীকেও। এমনকি, তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ, এই মামলার শুনানি ৩০ জুন কলকাতা হাই কোর্টে। তার আগে রিপোর্ট পেশ করতে চায় তদন্তকারীরা।এদিন সিআইডি দফতরে উপস্থিত ছিলেন ফিনান্স অফিসার। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অঙ্কে গড়মিলের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে।