ছ’বছরে একটিও ভোটে নেই, ৮ রাজনৈতিক দলকে শোকজের পথে নির্বাচন কমিশন!

গত ছ’বছরে একের পর এক নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে রাজ্যে। কিন্তু দল গঠনের পরই থেমে গিয়েছে সব কর্মকাণ্ড। না কোনও নির্বাচনে লড়াই, না জনসংযোগ, না প্রচার কোনওরকম রাজনৈতিক কার্যকলাপই দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এমন আটটি দলের বিরুদ্ধে এবার শোকজের পথে হাঁটতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। (আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে রয়েছে সাক্ষী, দাবি নির্যাতিতার, কে সেই ব্যক্তি?)আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্ব এবার শিক্ষকদের কাঁধে, কমিশনের নির্দেশে বিতর্কদিল্লি থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্প্রতি পাঠানো এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া এই আটটি দলের রাজনৈতিক তৎপরতা নেই বললেই চলে। এরা এখনও পর্যন্ত কোনও ভোটে দাঁড়ায়নি, কোনও কর্মসূচি নেয়নি, এমনকি সংবাদমাধ্যমেও কখনও তাদের নাম উঠে আসেনি। তাই প্রশ্ন উঠছে, এই দলগুলি আদৌ কি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য কি না। (আরও পড়ুন: গলায় কামড়, যৌনাঙ্গে ক্ষত, সামনে এল কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট)আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে সামনে শিউরে ওঠার মতো বর্ণনা, ৩ঘণ্টা ২০ মিনিটে কী কী ঘটেএই আটটি দলকে শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি দলের কাছ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হোক, তারা কেন রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়, ভবিষ্যতে আদৌ কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে কি না। সেইসঙ্গে তাদের সবরকম তথ্য ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নাম বাতিল করার প্রস্তাবও পাঠাতে বলা হয়েছে। যে আটটি দলের বিরুদ্ধে এই প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলি বিভিন্ন জেলার। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি করে দল, বীরভূমের দুটি, কলকাতার দুটি, মুর্শিদাবাদের একটি ও উত্তর দিনাজপুরের একটি দল। দলগুলোর মধ্যে কয়েকটির নামও সামনে এসেছে যেমন উত্তর ২৪ পরগনার অল ইন্ডিয়া তফসিল ইউনাইটেড পার্টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভারতীয় নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, বীরভূমের বঞ্চিত স্বরাজ পার্টি এবং ইন্ডিয়ান ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেস, মুর্শিদাবাদের মূলনিবাসী পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং উত্তর দিনাজপুরের বাংলার বিকাশবাদী কংগ্রেস। কলকাতার দুটি দলের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া মেনে এই দলগুলি নিজেদের নাম রেজিস্টার করালেও বাস্তবে তারা কোনও গণতান্ত্রিক বা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়নি। ফলে এবার তাদের অস্তিত্ব ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।