২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করা হয়েছিল। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদেরও ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে এখনও এই আইন প্রয়োগ করা হয়নি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের এমন সব মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
তথাগত রায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। এই মন্তব্যে বেজায় চটেছে বিজেপি। আবার বিজেপির অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়িয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জানিয়ে দিয়েছেন, সিএএ কার্যকর হলে দেশে সংখ্য়ালঘুদের ভূমিকা খাটো হয়ে যাবে। বরং সংখ্য়াগুরুদের উৎসাহ দেবে এই উদ্যোগ। অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্যের পর তাঁকে সরাসরি আক্রমণ করে বসলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
ঠিক কী বলেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ? সিএএ নিয়ে বরাবর বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝতে পারছি (সিএএ কার্যকর করার পিছনে) বিজেপি মূল লক্ষ্যটা হল সংখ্যালঘুদের ভূমিকাকে কমিয়ে ফেলা। আর তাদেরকে গুরুত্বহীন করে দেওয়া। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এটা করা হচ্ছে। তার সঙ্গেই হিন্দু সংখ্যাগুরুদের ভূমিকাকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংখ্য়ালঘুদের ভূমিকাকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’