একশো দিনের কাজের টাকা মিলছে না। ইচ্ছে করেই কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন, একশো দিনের টাকা পেতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবার কি পায়ে ধরতে হবে? আজ, বুধবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে জবাব দিলেন।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাব দেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘এখন পেটে টান ধরেছে। তাই পায়ে ধরার কথা বলছেন। ধরুন না প্রধানমন্ত্রীর পায়ে। বাংলার মানুষের জন্য না হয় পা ধরলেন। মুখ্যমন্ত্রী কিছু করেননি। জঙ্গলমহলের মানুষ সেটা বুঝেছে। তাই বিগত নির্বাচনগুলিতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। উত্তরবঙ্গের আদিবাসীরাও বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। উনি মাঝে মাঝে যান। ওদের সঙ্গে নাচেন।’
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্নকুমার রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল উদ্ধার হয়েছে। তাই দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে আপনি কী বলবেন? এদিন সংবাদমাধ্যেমর সামনে দিলীপ ঘোষ হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘তদন্ত শেষ হোক। তারপর তো গ্রেফতারির প্রশ্ন। আমি তো প্রকাশ্যে বলছি। প্রসন্নর বাড়িতে আমি নিজে দলিলের কপি রেখেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই এখন সিবিআইয়ের চা খাচ্ছে। কারও বাপের টাকায় ফ্ল্যাট কিনিনি। ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। যেখানে ফ্ল্যাট কিনেছি, সেই হাউজিং সোসাইটির প্রধান প্রসন্ন। ইলেকট্রিক মিটারের নাম চেঞ্জ করার জন্য আমি কপি ওকে দিয়েছি। ওদের মতো চোর নাকি আমি? ধরা পড়ে গেলেই পার্থ আমাদের কেউ না। এটা আমাদের নীতি না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, দম থাকলে সিআইডি দিয়ে তদন্ত করা হোক।’