আজ, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ভোট পরবর্তী হিংসাতে ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে আক্রান্তদের সংখ্যা তুলে ধরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে বাংলায় কথা বলেছেন রাজ্যপাল। এমনকী ‘শেষ দেখে ছাড়ব’ বলে হুঁশিয়ারি দেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানান, মোট ১০২৫টি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তিনি এই হিংসার বিষয়ে শেষ দেখে ছাড়বেন।
এদিকে বিজেপি কর্মীদের রাজভবনে স্বাগত জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সব বিষয়টি শোনেন তিনি। আর স্পষ্ট বাংলা ভাষায় বলেন, ‘আমরা হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করব। একসঙ্গে লড়াই করব। আমরা বাংলাকে হিংসামুক্ত করব। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। বাংলার দশ কোটি ভাই–বোনেরা আমার সঙ্গে আছেন। আক্রান্তরা রাজভবনে আমার সঙ্গে দেখা করবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।’ যদিও নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজভবনে গিয়ে আর তিনি দেখা করবেন না। রাস্তায় দেখা করে নেবেন।
আরও পড়ুন: বালিখাদগুলিতে বিরাট দুর্নীতি চক্র চলছে, ইডি তদন্তের হুঁশিয়ারি দিলেন সৌমিত্র খাঁ
অন্যদিকে এখনও বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আছে। তারপরও কেমন করে ভোট পরবর্তী হিংসা হচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও আজ রাজভবনে শতাধিক কর্মীকে নিয়ে হাজির হন শুভেন্দু। আর সেখানে রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘আমরা বাংলাকে হিংসামুক্ত করব। আমি নেতাজির নামে শপথ করে বলছি, রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দের নামে শপথ করে বলছি, শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। রেশন কার্ড ছিনতাইয়ের অভিযোগ এসেছে। সেফ হোমে ৩ হাজার ২০০ জন আছেন। ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর, বাসন্তী, বসিরহাট, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং কোচবিহারে সেফ হোম তৈরি করা হয়েছে। অন্তত ১০ হাজার মানুষ গৃহহীন।’
এরপরই দুর্গাপুজো পর্যন্ত বাংলায় যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে, সেই আর্জিও শুভেন্দু জানান রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কথায়, ‘রাজভবনের সব পুলিশকে বদলি করতে হবে। সকলেই যেন বুঝতে পারে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ। যদি না বদলাও তবে পুর্নঃমুষিক ভব।’ রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যপালকে বলেছি বাংলায় গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভই আক্রান্ত। পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের রেশন কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ চার সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এখন রাজ্যে এসেছে ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। আর গোটা বিষয়ে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।