২০১৯ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছিল। আর এই রাজ্যেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পায়। সেই যে হার শুরু হয়েছে বিজেপির তা আর ঠেকানো যায়নি। পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভা এবং উপনির্বাচন কোনওটিই জিততে পারেনি বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হতাশ।
Ad
বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
এবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বঙ্গ– বিজেপিতে এবার প্রকাশ্যে চলে এল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া! দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এমনকী দলের নেতাদের একাংশের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বাংলার সমস্যার কথা বোঝানো যাচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। আর দলের অন্দরেই কিছু ভিতু মানুষ আছে যারা লড়াই করতে ভয় পান বলে দাবি তাঁর। তাই সাহসী নেতাদের হাতে দায়িত্ব দিতে হবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রুদ্রনীল। দিল্লির নেতাদের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন নেতা রুদ্রনীল।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মত, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ৫০টির বেশি আসন পাবে না। কারণ সাংগঠনিক দুর্বলতা মারাত্মক রয়েছে। এই কথা বঙ্গ–বিজেপির নেতাদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সদ্য ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সেখানে এমন বার্তা বেশ চাপ তৈরি করেছে। এই আবহে দলের একাংশের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য ভোট লুট হচ্ছে রাজ্য বিজেপি বলছে। কিন্তু সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বোঝানো যাচ্ছে না। সেখানে খামতি আছে। জেলা নেতৃত্ব গড়ার পথেও একই জিনিস হচ্ছে।’
২০১৯ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছিল। আর এই রাজ্যেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পায়। সেই যে হার শুরু হয়েছে বিজেপির তা আর ঠেকানো যায়নি। পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভা এবং উপনির্বাচন কোনওটিই জিততে পারেনি বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হতাশ। এই আবহে রুদ্রনীল ঘোষের বক্তব্য, ‘বিজেপিতে কথা বলার অধিকার সবার রয়েছে। সবার একটা সীমারেখা রয়েছে। অন্যদিকে কম নজর দেব সেটা হতে পারে না। বাংলাদেশ ইস্যু, রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি থেকে অন্যান্য ইস্যুতে মাঠে নামব না এটা হতে পারে না। ভোট লুট ঠেকাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কীভাবে অবহিত করাতে হবে সেই দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। দিল্লির কাছে জানাতে হবে।’