ওয়েস্ট বেঙ্গল লিঙ্গুয়িস্টিক মাইনরিটিজ অ্যাসোসিয়েশন। সেই অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে সমাবেশ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ, জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রমুখ বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে সেই সমাবেশে দাবি করা হয়, ভোটের সময় এলেই যাঁরা অবাংলাভাষি নন তাঁদেরকে বহিরাগত বলে দাগিয়ে দেয় তৃণমূল।
এদিকে ইতিমধ্য়েই কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কলকাতার সমস্ত সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় লেখা হয়। এমনকী কলকাতায় অবাঙালি ব্যবসায়ীদের দাপট ক্রমশ বাড়ছে বলেও দাবি করা হয় বিভিন্ন মহলের তরফে। তবে এবার সরাসরি এই বাঙালি-অবাঙালি বিভাজনের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। তবে অনুষ্ঠানটি সরাসরি বিজেপি দলের তরফে করা হয়নি।
তবে কথা ছিল যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ বলেন, রাজ্যের হিন্দিভাষীদের ব্যবহার করে ফেলে দিতে চায় তৃণমূল। আমাদের বহিরাগত বলে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে সেই সঙ্গেই রাজ্যের সমস্ত স্কুলে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলকভাবে রাখার ব্যাপারে দাবি তোলা হয়েছে।
এদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এই সমাবেশে বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি সকলকে নিয়ে চলা। ছট পুজোয় আমার প্রতিবেশী বাঙালিরা আমাদের কাছে ঠেকুয়া চেয়ে খান। অথচ রাজনৈতিক কারণে নির্বাচন এলেই কেউ কেউ আমাদের বহিরাগত তকমা দিয়ে বিভাজনের ফায়দা তোলে। দাবি জিতেন্দ্রর।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রতিবারই ভোট এলে দেখা যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দলে দলে আসেন বাংলায়। এমনকী হিন্দি বলয় থেকে বিজেপি নেতাদের এই আগমনকে ঘিরে নানা সময় খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বিরুদ্ধে বার বার বহিরাগত তকমা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ভোটের আগে তৃণমূল সরাসরি ঘোষণা করেছিল জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন। কার্যত বাঙালিদের আবেগকে উসকে দিয়ে ভোট বাক্সে সুবিধা পাওয়ার সব চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তবে এবার পালটা ভাষাগত সংখ্য়ালঘুদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছেন অর্জুুন, জিতেন্দ্ররা।
এই সংগঠনের দুই মুখ। একদিকে অর্জুন সিংহ ও অপরজন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দুজনেই অবাঙালি নেতা বলেই পরিচিত। তবে এবার সেই ভাষাগত সংখ্য়ালঘুদের নানা অভিমানকে কাজে লাগিয়ে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই বাঙালি ও অবাঙালি এই বিভাজনের পেছনে শাসকদলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও দাবি অর্জুনদের।