পার্থ–অর্পিতা, কুন্তল–তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী, শান্তনু–হৈমন্তী, অয়ন–শ্বেতার পর কুন্তল ঘোষ সামনে নিয়ে এলেন মৌসুমী কয়ালের নাম। আর তার পর জোর আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। একেবারে তাপস মণ্ডলের ‘এজেন্ট’ বলে মৌসুমী কয়ালের নাম নিয়ে এলেন এই দুর্নীতিতে। যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল।
কুন্তল ঘোষ।
মৌসুমী কয়ালের নাম প্রথম রাজ্য–রাজনীতিতে প্রকাশ্যে আসে কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডে প্রতিবাদী হিসাবে। তারপরও নানা প্রতিবাদে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়বে সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ–অর্পিতার গ্রেফতার দিয়ে তালিকা শুরু হয়েছিল। এখন তা বেড়ে একুশে এসেছে ঠেকেছে। আর তারই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার এবং বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেসে যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। আর নতুন নাম টেনে আনলেন। কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়ালকে জড়িয়ে দিলেন।
পার্থ–অর্পিতা, কুন্তল–তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী, শান্তনু–হৈমন্তী, অয়ন–শ্বেতার পর কুন্তল ঘোষ সামনে নিয়ে এলেন মৌসুমী কয়ালের নাম। আর তার পরই জোর আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। একেবারে তাপস মণ্ডলের ‘এজেন্ট’ বলে মৌসুমী কয়ালের নাম নিয়ে এলেন এই দুর্নীতিতে। কামদুনির প্রতিবাদী চরিত্র সত্যিই কি জড়িত? যদিও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি মৌসুমী কয়ালের পক্ষ থেকে। সেক্ষেত্রে কুন্তলের কথা অনুযায়ী আপাতত তাপস মণ্ডলের এজেন্ট হিসাবেই ছড়িয়ে পড়ল খবর।
ঠিক কী বলেছেন কুন্তল? তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কোনও মহিলার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল? এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যম প্রশ্নে করতেই কুন্তল বলেন, ‘তাপসের অফিসে অনেক মহিলা কাজ করতেন। তাঁদের সঙ্গে নিশ্চয়ই হয়েছে। আমি যেটুকু জানতাম, মৌসুমি কয়াল ছিলেন তাপস মণ্ডলের এজেন্ট। কত টাকা তুলেছে জানি না।’ যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তাপস মণ্ডল। যিনি কুন্তলকে ‘ম্যাজিশিয়ান’ বলেও খোঁচা দিয়েছেন। আর সেই ম্যাজিশিয়ান এখন তোলপাড় কাণ্ড ফেলে দিয়েছেন তাঁর মন্তব্যের মধ্য দিয়ে।