কলকাতায় গরমের দাপট কিছুটা কমেছে। কিন্তু এটা আর কতদিন? গোটা মে মাসটা এখনও পড়ে রয়েছে। এদিকে গরমের ছুটি পড়লেই অনেকেই পাহাড়মুখো হন। তবে এবার ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিংয়ে না গিয়ে অনেকে আবার ডুয়ার্সে যাচ্ছেন। গরমে কালিম্পংয়ের গ্রামগুলোও অত্য়ন্ত আরামদায়ক। তেমনই ডুয়ার্স ঘেঁষা কালিম্পংয়ের একটি অফবিট গ্রামের খোঁজ থাকল আজ।
ইদানিং অনেকেই রঙ্গো যাচ্ছেন। কালিম্পংয়ের অফবিট গ্রাম। ভুটান সীমান্তের কাছেই ছোট্ট গ্রাম। নির্জন, নিরিবিলি ছোট্ট গ্রাম রঙ্গো। এ যেন মেঘ পাহাড়ের দেশ। পাহাড়, ঝরনা, জলঢাকা নদী সব কিছু পাবেন এখানে। এটা পশ্চিম ডুয়ার্সের অংশবিশেষ। এখান থেকে কাছেই রিশপ, লাভা, টিফিনদারা ভিউ পয়েন্ট। লাভা মনাস্ট্রির উপর থেকে পাহাড় যেন মনে হয় হাতের কাছেই। এখান থেকে সিকিম পাহাড়ে একাংশওকেও দেখা যায়। এককথায় অপরূপ সুন্দরী পাহাড়ি গ্রাম।
ছবির মতো সুন্দর গ্রাম রঙ্গো। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝোরা। একাধিক হোম স্টে রয়েছে। ঝালং, বিন্দু থেকে কিছুটা ওপরে এই রঙ্গো। অপূর্ব সুন্দরী এই গ্রাম। কাছেই রয়েছে একটি কাঠের ব্রিজ। পাহাড়ি ঝোরার উপর। যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য আদর্শ জায়গা এই রঙ্গো। গোটা গ্রামটাই পাহাড় দিয়ে ঘেরা।
এনজেপি থেকে যারা রঙ্গো যেতে চান তাদের কাছে এই যে গোটা রাস্তার জার্নিটা সেটাই মনে থাকবে অনেকদিন। তবে আপনি আপনি নিউ মাল জংশনে নামতে পারেন। নিউ মাল জংশন থেকে গাড়ি ভাড়া পাবেন। চাপড়ামারি ফরেস্টের মধ্যে দিয়ে পিচঢালা রাস্তা। ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগবে এখানে যেতে। জার্নি কিছু মনেই হবে না।
সর্ব অর্থেই দুষণমুক্ত গোটা এলাকা। ঘন জঙ্গলের মধ্যে রাস্তা। তবে বর্ষা বা তার পরে এলে একটি জোঁকের উৎপাত থাকে। পাহাড়ের অনেক জায়গাতেই এই সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে একটু সতর্ক হলে আর কোনও চিন্তা নেই। যাদের ছবি তোলার শখ রয়েছে তাদের কাছে রঙ্গো একেবারে স্বর্গরাজ্য। জলঢাকা নদীর ধারে একবার ঘুরে আসুন। মন ভালো হবেই। এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক