সবে জিনাতের আতঙ্ক কেটেছে। তার মধ্যে আবার একজন দক্ষিণরায় বাংলায় এসে হাজির। ওড়িশা থেকে সে এসেছে। এখন তাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গে। আর এই বাঘকে ওড়িশার বন দফতরের টিম পাঠিয়ে নিয়ে যেতে ওড়িশা সরকারকে বিশেষ অনুরোধ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন দফতরের কর্মীদের ৯ দিনের চেষ্টায় ধরা পড়েছিল জিনাত। সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগ্রেসকে ওড়িশা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আবার বাংলার সীমানার কাছাকাছি আরও একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এসে পড়েছে। এবার তাকে উদ্ধারের জন্য ওড়িশা প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে দক্ষ বনকর্মী পাঠিয়ে বাঘকে উদ্ধার করতে বললেন।
এদিকে সূত্রের খবর, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার জঙ্গল বদল করে সরাইখেলা খাটোয়া জেলার চাণ্ডিল থানার বালিডি জঙ্গলে আগে এসেছিল। আজ সোমবার ভোরে দলমা পাহাড়ের দিকে চাষের জমিতে পায়ের ছাপ মিলেছে। পাশেই এনএইচ–৩৩। অর্থাৎ রাঁচি–বুণ্ডু–চৌকা–খড়গপুর রয়েছে। তার পাশে পাটা টোলপ্লাজা। তাই লোকালয়ের কাছে চলে এসেছে বলা যায়। এই বিষয়ে আজ গঙ্গাসাগরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানকার মানুষজন একদিকে বাঘ এবং অপরদিকে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছেন। এই দেখুন না, একটা বাঘ পাঁচটা জঙ্গল, পাঁচটা জেলা পেরিয়ে চলে এল। আতঙ্কে ছোটদের স্কুল বন্ধ ছিল। যেই আমরা উদ্ধার করলাম প্রশাসন ও বনবিভাগ সকলে মিলে। ওমনি দিনরাত ফোন আসছে। ফেরত দাও, ফেরত দাও। আর দিয়ে দিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, রাখেননি’, ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ নির্মাণের ঘোষণা মমতার
অন্যদিকে এটা যে দীর্ঘদিন চলতে পারে না সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ওড়িশা সরকার বাঘেদের সুরক্ষা দিতে না পারলে বাংলায় পাঠাতে পারে। সেক্ষেত্রে সারাজীবনের জন্য রেখে দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আবার একটা চলে এসেছে। তোমরা তো তোমাদের জঙ্গলের খেয়াল রাখবে। যাতে তোমাদের বাঘ আমাদের এখানে ঢুকে না পড়ে। এমনিতেই হাতির সংখ্যা আমাদের বেড়ে গিয়েছে। হাতির জন্মের হার অনেক বেশি। খাদ্য দিতেও সমস্যা। ধান খেতে ভালবাসে, চলে যাচ্ছে। রাস্তায় চলে এল। বনকর্মীদের সামলাতে হয়। ওড়িশা সরকারকে বলব, বাঘ উদ্ধার করে নিয়ে যেতে। এখন আবার যদি সেই আতঙ্ক সহ্য করতে হয়। তাহলে ছেড়ে দিন। আমরা সারাজীবন রেখে দেব।’