নাম না করলেও বুঝিয়ে দিয়েছেন গদ্দার কে। কার পরিবার বেশি দুর্নীতি করেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচন এবং তার ফলাফল অনেকেরই মনে আছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন। তাই খুব একটা উচ্চবাচ্য হয় না রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দীর্ঘদিন পর এই বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে বিতর্ক আজও আছে। গণনায় একবার জয়ী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফল প্রকাশিতও হল। তারপর লোডশেডিং হয়ে পুনরায় গণনা হল আর তিনি হেরে গেলেন। জয়ী হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার এই বিষয়ে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ একদিন জবাব দেবে।’
এদিকে বিরোধী দলনেতা হওয়া, নন্দীগ্রাম আসনে জেতা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই চোর বলা খুব সহজ পথে হয়নি। এবার সেই ইঙ্গিতই নাম না করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নন্দীগ্রামের কেসটা এখনও বিচারাধীন আছে। আড়াই বছর কোর্টে কেস পড়ে আছে। কী হয়েছে না হয়েছে তার উত্তর তো মানুষ একদিন দেবেই। গদ্দারই এখানে সবথেকে বেশি খেয়েছে, সবথেকে বেশি দুর্নীতি করেছে।’
অন্যদিকে নাম না করলেও বুঝিয়ে দিয়েছেন গদ্দার কে। কার পরিবার বেশি দুর্নীতি করেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে একবার ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়ে যায়। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হন। কিছুক্ষণ পরই আবার নতুন ফলাফল ঘোষণা করা হয় নির্বাচনী আধিকারিকদের পক্ষ থেকে। সেই ফলাফলে ১৯৫৪ ভোটে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। সুতরাং রহস্য একটা আছে বোঝা যায়। তার প্রেক্ষিতেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।