সিপিএমের আমজাদ হোসেন বর্তমানে বিধায়ক না থাকলেও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা বা সচেতনতামূলক কাজ করে থাকেন। তিনি প্রায়ই রাতে বাড়ি ফেরেন। গত রবিবার রাতে এক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি দেখতে পান বিরল প্রজাতির ওই কচ্ছপটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
উদ্ধার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। প্রতীকী ছবি
প্রাক্তন বিধায়কের সামনেই রাস্তা দিয়ে পারাপার করছিল একটি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। শিকারীরা দেখলে হয়তো সেই কচ্ছপটিকে ধরে বাজারে বিক্রি করত। কিন্তু তার আগেই পান্ডুয়ার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের তৎপরতায় রক্ষা পেল বিরল প্রজাতির সেই কচ্ছপ। ওই কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দিলেন পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক আমজাদ হোসেন। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কচ্ছপটিকে নির্দিষ্ট জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএমের আমজাদ হোসেন বর্তমানে বিধায়ক না থাকলেও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা বা সচেতনতামূলক কাজ করে থাকেন। তিনি প্রায়ই রাতে বাড়ি ফেরেন। গত রবিবার রাতে এক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে তিনি দেখতে পান বিরল প্রজাতির ওই কচ্ছপটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কচ্ছপটিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যান। কচ্ছপটির যাতে প্রাণহানি না হয় তার জন্য বাড়িতে গামলায় জল দিয়ে কচ্ছপটিকে রেখে দেন। এরপর সকালে তিনি বনদফতরকে খবর দেন। খবর পেয়ে বনদফতরের কর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে। প্রাক্তন বিধায়ক জানান, রবিবার রাতে তিনি কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেছেন। ওই কচ্ছপটি জয়পুর রোডে পাওয়া গিয়েছে। সেটিকে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসার পর সেবা শুশ্রূষা করেন। পরে বনদফতরকে খবর দেন। বিধায়কের অনুমান, বৃষ্টি হওয়ার কারণে কচ্ছপটি অন্য জায়গা থেকে চলে এসেছিল। তবে বিধায়ক আশঙ্কা প্রকাশ কর জানান, অন্য কেউ কচ্ছপটি দেখলে তারা সেটি ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে দিত বা বাজারে বিক্রি করে দিত। এই অবস্থায় কচ্ছপ যাতে মেরে ফেলা না হয় তার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক।