এবার আর দু’ - এক হাজার টাকা নয়, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ঘর তৈরি করতে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মেমারি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। স্থানীয়রা বলছেন, যারা অভিযোগদ করছেন তারা পুকুরের একাংশ ভরাট করে ঘর তৈরি করছিলেন। তাই প্রধান বাধা দিয়েছেন। টাকা চাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।
দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন ফুলন বিবি। প্রথম কিস্তির টাকাও পেয়েছেন। শুরু হয়েছে ঘর তৈরির কাজ। পঞ্চায়েত প্রধান না কি দেখেও গেছেন ঘরের মাপ।
ফুলন বিবির অভিযোগ, হঠাৎ পঞ্চায়েত প্রধান না কি ১০ হাজার টাকা চেয়ে বসেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বিভিন্ন কৌশলে বন্ধ করে দেন ঘরের কাজ। অভিযোগ দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অশোক কুমার সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকী গৃহবধূর অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান যে টাকা চেয়েছেন সে কথা যেন কাউকে না বলে। বললে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মেমারীর বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে যদি সত্যি প্রধান কাটমানি নেয়ার কথা বলে থাকে তাহলে প্রশাসন এবং দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
তবে মেমারি ১ নং ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান কেউ বা কারা পঞ্চায়েত প্রধানের নামে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য জানান, ঘরের পাশে রাস্তা না রেখেই ঘর নির্মাণ করছেন ফুলন বিবি। ঘর তৈরি করতে পুকুরের একাংশ ভরাট করেছেন তিনি। তাই কাজে বাধা দেয়া হয়েছে। ফুলন বিবি পাল্টা বলেন, রাস্তা নিয়ে সমস্যা আগে কেন জানানো হয়নি? ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হবার পর কেন বাধা দেয়া হচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে বিডিও কে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।