মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আমি বাজি ধরে বলতে পারি ওই এলাকার কোনও মহরম কমিটি এমন পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেনি। এটি সম্পূর্ণরূপে পুলিশের অতি সক্রিয়তা। এটি সনাতনীদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে।’
মহরমের প্রাক্কালে মালদার কালিয়াচকের একটি দুর্গা মন্দিরের গেট বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই মন্দিরের গেটে ব্যারিকেড থাকার ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ও ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর কটাক্ষ, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই এভাবে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যারিকেড তুলে বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন মমতা।
শনিবার সকালে এ নিয়ে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আমি বাজি ধরে বলতে পারি ওই এলাকার কোনও মহরম কমিটি এমন পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেনি। এটি সম্পূর্ণরূপে পুলিশের অতি সক্রিয়তা। এটি সনাতনীদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে ট্যাগ করেছেন। এরপরেই রাজ্যে ধর্মীয় নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
তিনি লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা হল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির সমার্থক। এই কারণেই তাঁর প্রশাসন ধর্মীয় উৎসবের সময় অতি সক্রিয়তা রোগে ভোগে। তারা এমন কিছু করে যা সনাতনীদের অনুভূতিতে আঘাত করে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজনৈতিক ফায়দার জন্য দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যারিকেড তৈরি করছেন। তিনি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।’