বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্ধের মধ্যেই শুক্রবার খুলেছে রাজ্যের স্কুলগুলি। বন্ধের আবহে স্কুল ঠিকমতো হবে কিনা তা নিয়ে আগে থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিভাবকরা। আর তার মধ্যেই রাজ্যের দুই প্রান্তে স্কুল খুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বন্ধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে।প্রথম ঘটনাটি মালদার চাঁচলের। এদিন সকালে চাঁচলের সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউট খুলতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বন্ধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। স্কুলের সামনেই পড়ুয়াদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।জানা গিয়েছে, এদিন ওই স্কুলের সামনে পৌঁছে সিপিএম ও কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ধর্মঘটীরা। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঠিক স্কুল খোলার আগে স্কুলের সামনে জটলা করেন তাঁরা। পৌনে ১১টা নাগাদ ছাত্ররা স্কুলে পৌঁছলে বচসা বেঁধে যায়। উত্তেজনা ছড়ায়।খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের সামনে চলে আসে চাঁচল থানার পুলিশ। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে একদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ, পড়ুয়া এবং অন্যদিকে বন্ধ সমর্থনকারীদের মধ্যে চলে বচসা। শেষে পুলিশে হস্তক্ষেপে সরে যান বন্ধ সমর্থনকারীরা। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ওই স্কুলটি খোলা হয়েছে। ক্লাসও করেছে পড়ুয়ারা।এদিকে, হুগলির চুঁচুড়ায় দেশবন্ধু বয়েজ স্কুলের পড়ুয়াদের ঢুকতে বাধা দেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। আর সেই ঘটনায় স্কুলে ঢুকতেই পারেনি পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত বাড়ি ফিরে যায় তারা। আগে থেকেই স্কুলের সামনে জমায়েত করেছিল ধর্মঘটীরা। ছাত্ররা স্কুলে এলে তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয় তারা। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যায় ছাত্ররা।এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, বন্ধের কথা মাথায় রেখে প্রতিটা স্কুলের সামনে পুলিশ মোতায়ন করা উচিত ছিল সরকারের। শিক্ষকরা জানান, আমরা স্কুলে এসে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। আমরা স্কুল চালাতে ইচ্ছুক ছিলাম। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের জন্য ছাত্ররা স্কুলে ঢুকতে পারল না।