
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়। গতবছর সেপ্টেম্বরে এই গোয়ালতোড়েরই উখলার জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে সাতটি মাস্কেট, একটি এসবিবিএল গান-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। গত বুধবার ফের সেই জঙ্গলেই উদ্ধার হয় বিপুল অস্ত্র। প্রায় ৩০টি বন্দুক উদ্ধআর হয়েছিল বুধবার। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে এবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন রাজ্য গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবারই রাজ্য আইবির তিন সদস্যর একটি দল ঘটনাস্থলে যান। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এককালে এই উখলা জঙ্গলেরই খুব কাছে অবস্থিত বড়ডাঙা ছিল মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি। সেই বড়ডাঙার উলটোদিকে অবস্থিত নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। মাওবাদীদের রুখতে সেই নলবনাতেই সশস্ত্র ঘাঁটি গড়েছিল সিপিএম। তবে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর চিত্রটা বদলে যায়। মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃত্যু হয় এনকাউন্টারে। সামনে আসে কঙ্কালকাণ্ড। এই আবহে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের অস্ত্র বিভিন্ন জঙ্গলের মাটির তলায় গিয়ে পুঁতে দিয়ে আসে। পরে সেগুলো একে একে উদ্ধার হতে থাকে।
এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গোয়ালতোড়ে জঙ্গলের মাটি খুড়ে উদ্ধার হয়েছিল সাতটি বন্দুক। সঙ্গে তার ও টিনের কৌটোও উদ্ধার হয়েছিল। যা থেকে মনে হচ্ছিল, এগুলি ল্যান্ডমাইন তৈরির ব্যবহারে কাজে লাগাতেই রাখা হয়েছিল সেখানে। এই আবহে এই অস্ত্র মাওবাদীরা রেখে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এই আবহে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, ‘সিপিএম অস্ত্রের রাজনীতি করলে তৃণমূলের জন্মই হত না পশ্চিমবঙ্গে। মাওবাদীদের তো তৃণমূলই ডেকে এনেছিল। তারাই অস্ত্রের আমদানি করে একের পর এক কমরেডকে খুন করেছে। মাওবাদীরা যে পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে তা তো প্রমাণিত। মাওবাদীদের প্রথম সারির নেতা ছত্রধর মাহাতো আজ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।’
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus