এসএসসি চাকরি নিয়ে সমস্যার শেষ কবে? এই প্রশ্ন মনে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বহু চাকরিপ্রার্থী বারবার অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন। কিন্তু, তারপরেও সমস্যার সমাধান সেভাবে হয়নি। এই আবহে সোমবার আন্দোলন করতে এসে আটক হন শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ও অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার সল্টলেকের বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করেন এসএসসির চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার। তারপর তিনি জানালেন, রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক পদে আইন মেনে কতজনকে নিয়োগ করা যায় তা খতিয়ে দেখছে কমিশন।বৈঠকের পর এদিন শুভশঙ্কর সরকার বলেন, 'নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য যাঁরা আবেদন করেছিলেন, কমিশনে তাঁদের অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছি। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের এই বিষয়টা অনেক আগের থেকেই চলছিল। এদিকে আমাদের কমিশনে অনেকেই নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই ঘটনাগুলির পরে তাঁর পদে আসেন। তাই অভিযোগগুলি নিয়ে আবার নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কী করে এই অভিযোগগুলিকে মেটানো যায়।'এদিন শুভঙ্করবাবু আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'সবকটি অভিযোগ বিচার ও বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। এবং কতজন চাকরিপ্রার্থীকে কী করে আইন মেনে চাকরি দেওয়া যায় সেই বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব। তাদের এই সমস্যা আমরা মোটেই হালকাভাবে দেখছি না। তাই সবকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।' এদিকে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, 'সবার প্রতি সহানুভূতিশীল মুখ্যমন্ত্রী। আমরা কমিশনকে বলেছি, আইনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রেখে যতটা করা সম্ভব, সেটা করতে হবে।'প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসির চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়া প্রায় তিন লাখ পরীক্ষার্থীদের মেরিট লিস্ট প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত চাকরি মেলেনি তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে বারবার তাঁরা কমিশন ও বিকাশ ভবনে জানিয়েছেন। ২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁরা দীর্ঘ অনশন আন্দোলনও চালান। এদিকে, গতকাল এসএসসি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে আন্দোলনে সামিল হন প্রায় শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। সেখানেই বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হওয়ার পর প্রায় ১০০ জনেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।