আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এই নারকীয় ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। এই আবহে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে আজ, সোমবার আবার গেল সিবিআইয়ের একটি দল। গত বৃহস্পতিবারও সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের দল তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে ছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর। সে দিন মৃতা চিকিৎসকের ডায়েরি, বইপত্র ঘেঁটে দেখেছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা।
এই ধর্ষণ–খুনের ঘটনার পর গর্জে উঠেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি ‘এনকাউন্টার’ করার নিদান দিয়েছিলেন তিনি। তারপর যখন আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর হয় তখন এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। আর কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। কিন্তু সিবিআই তদন্ত করার ফলে এখন আর কোনও কিছুই কলকাতা পুলিশের হাতে নেই। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আজ মৃতা চিকিৎসকের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের দল। নতুন কোনও তথ্য জানার জন্যই এই ঝটিকা সফর বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে এবার উঠল আপত্তি, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ এক চিকিৎসকই
এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাস্তায় নেমেছিলেন। দোষীর ফাঁসি চাই স্লোগান তুলেছিলেন। আর আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় আন্দোলনকে সমর্থন করেও কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন চিকিৎসকদের। তারপরও লাভ হয়নি। সিবিআইয়ের একটি টিম যখন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে গেল তখন আর একটা টিম গেল আরজি কর হাসপাতালে বলে সূত্রের খবর। এই ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় রোজই কাউকে না কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। কিন্তু তাতে তেমন কিছুই বেরিয়ে আসছে না। ফলে সিবিআই তদন্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে চলেছে।
যদিও পাঁচদিন কেটে গেলেও সিবিআই তদন্ত এখন প্রশ্নের মুখে। কারণ কোনও গ্রেফতার হয়নি। বড় কোনও তথ্যপ্রমাণও সামনে নিয়ে আসতে পারেননি তদন্তকারীরা। এতে এখন পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। থ্রিডি লেজার ম্যাপিং পর্যন্ত করা হয়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজও সেই কাজ চলছে। কিন্তু তাতেও এই ধর্ষণ–খুনের কিনারা করতে পারেনি সিবিআই। আজ ৬দিন তদন্ত করছে সিবিআই। সেখানে কোনও সদর্থক কিছু করতে না পারায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।