শনিবার সকালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর তোর্সা নদীতে ভেসে উঠল গন্ডারের দেহ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই গন্ডারের মৃত্যুর পেছনে চোরাশিকারীদের হাত রয়েছে কি না তা বনদফতর খতিয়ে দেখছে। তবে গন্ডাররা সাধারণত সাঁতার কাটতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে বনদফতরের ধারনা তোর্সা নদীর প্রবল স্রোতে গন্ডারটি ভেসে গিয়েছিল। এরপর সম্ভবত কোনওভাবে জলে ডুবে এটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে সাধারণত খড়্গের লোভেই গন্ডার হত্যার প্রবণতা রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পাচার চক্র এক্ষেত্রে কাজ করে। সেক্ষেত্রে মৃত গন্ডারটির খড়্গ সহ অন্যান্য দেহাংশ ঠিকঠাক রয়েছে কি না তা বনদফতর খতিয়ে দেখছে। শিলবাড় ঘাটে বালি পাথর তুলতে গিয়ে মৃত গন্ডারটিকে দেখতে পান বাসিন্দারা। এরপর বনদফতরের সহযোগিতায় জেসিবি দিয়ে গন্ডারের দেহটিকে জল থেকে তোলা হয়। তবে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে চোরাশিকারীদের হাত থেকে গন্ডার রক্ষা করা বনদফতরের কাছে বরাবরই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। গত বছর এনিয়ে বনদফতরকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। কয়েকদিনের ব্যবধানে একাধিক গন্ডাররে মৃত্যুকে ঘিরে তখন নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তবে এদিন জল থেকে গন্ডারের দেহটিকে উদ্ধার করতে বন দফতরকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। কবে গন্ডারটির মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিকভাবে সেটি দেখা হচ্ছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের ধারনা অতি বর্ষণের জেরে নদীতে জলস্ফীতি হয়েছে। সম্ভবত তার জেরেই গন্ডারটি কোনওভাবে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। তবে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে গন্ডারটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। এরপর এটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।