শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে খুন হয়েছেন কয়লা মাফিয়া রাজেশ ঝা ওরফে রাজু। তার বিরুদ্ধে পশ্চিমবাংলা-সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন থানাতে অভিযোগ রয়েছে। আসানসোল, রানীগঞ্জ কয়লা খনি এলাকায় অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন রাজু। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবার তিনি জেলও খেটেছেন। শুধু তাই নয়, বাম আমলে পশ্চিম বর্ধমানের বড়সড় এলাকা জুড়ে কয়লার বেআইনি করবার চালাচ্ছিলেন এই রাজু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন আশির দশকে। ক্রমেই তিনি এই চক্রের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন কয়লা পাচার চক্রের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে কাপড়ের দোকান খুলেছিলেন তিনি। পরে তিনি হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রাজু। পরে তিনি আবার এই চক্রে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০১৬ সালে কলকাতা পুলিশ তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার করে। তারপরেও একাধিকবার সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। তবে কয়লা পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সময় রাজনীতিতে যোগ না দিলেও পরে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। দুর্গাপুরে পলাশডিহার মাঠে সাংসদ অর্জুন সিংহের হাত ধরে তিনি গেরুয়াশিবিরে যোগ দেন। তবে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর রাজুকে আর সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে দেখা যায়নি।