রাজু ঝা খুনে ব্যবহৃত গাড়িটির মালিক পাটুলির বাসিন্দা বৃদ্ধা নন। গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি করা হয়েছে। আততায়ীদের ব্যবহৃত নীল বালেনো গাড়িটি পরীক্ষা করে এমনই জানালেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারিতে দিল্লি থেকে চুরি করা হয় গাড়িটি। এই তথ্য তদন্তে নতুন দিশা দেবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।মঙ্গলবার শক্তিগড় থানায় রাজু ঝা খুনে অততায়ীদের ব্যবহৃত গাড়িটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়। গাড়িটির ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর উদ্ধার করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখেন, সেগুলি ফাইল দিয়ে ঘসে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর পর রাসায়নিক ব্যবহার করে ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই ইঞ্জিন ও চ্যাসি নম্বর পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন গাড়িটি দিল্লির। গত জানুয়ারিতে গুরুগ্রাম থেকে চুরি হয় গাড়িটি। গাড়ির মালিক চুরির অভিযোগ দায়েরও করেছিলেন। সেই গাড়িতে পাটুলির বাসিন্দা বৃদ্ধার গাড়ির নম্বর প্লেট ব্যবহার করেছিল আততায়ীরা। ওই গাড়িতে উদ্ধার হয়েছে ২টি সেভেন এমএম পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি নম্বর প্লেট।গোয়েন্দাদের অনুমান, অপারেশন শেষে পালানোর জন্য পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে রেখেছিল আততায়ীরা। দিল্লির নম্বর প্লেটের গাড়ি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অপারেশন চালিয়ে পালানোর সময় যে তারা সহজেই ধরা পড়ে যেতে পারে সেকথা জানা ছিল তাদের। তাই কলকাতায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক নীল বালেনো গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করেছিল তারা। তার পর সেই নম্বরগুলি দিয়ে নাম্বার প্লেট বানায় তারা। সেই নম্বরপ্লেটের এক জোড়া লাগায় গাড়িতে। বাকি নম্বরপ্লেটগুলিও সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিল তারা। যাতে রাস্তায় নম্বর প্লেট বদলাতে বদলাতে তারা পালাতে পারে।