হঠাৎ ভাঙচুরের শব্দ। রবিবার মাঝরাতে এই শব্দে চমকে উঠেছেন অনেকেই। বাইরে বেরিয়ে দেখা যায়, ব্যান্ডেল স্টেশনে ১৫টি স্টল ভেঙে দিয়েছে রেল। দোকানিদের মাথায় হাত পড়লেও তখন আর কিছুই করার নেই। কিন্তু কেন এই ভাঙচুর? রেল সূত্রে খবর, বকেয়া ভাড়া না মেটানোয় এই স্টসগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্টল মালিকদের বক্তব্য, করোনাভাইরাসের জেরে টানা দু’বছর ট্রেন চলাচাল করেনি। তার মধ্যে চলেছে লকডাউন। বেচাকেনা হয়নি। রোজগার নেই। তারপরেও এই ঘটনা অমানবিকতা।ব্যান্ডেল স্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেনগুলি দাঁড়ায়। জংশন হওয়ায় বহু লোকাল ট্রেনও এখানে দাঁড়ায়। তাই মানুষজন এই স্টেশনে নেমে নানা জিনিস, খাবার কিনে থাকে। সেখানে স্টলগুলি ভেঙে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা এবং মানুষজন বিপদে পড়লেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘বকেয়া মেটানোর কথা বহুবার বলা হয়েছে। নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই স্টল ভাঙা হয়েছে।’ পাল্টা ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ‘বর্ধিত ভাড়াটুকু মকুবের আবেদন করা হয়েছিল। তার ফল এমন হবে ভাবতে পারিনি। রেলের কাছে আমাদের অনুরোধ, বর্ধিত ভাড়া মকুব করে আমাদের আবার বসতে দেওয়া হোক।’ এখন এই পরিস্থিতিতে এখন সংসার চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ল। আগে চরম খারাপ অবস্থা দিয়ে দিন কেটেছে। এখন আবার আকাশ ভেঙে পড়ল মাথায় বলে জানাচ্ছেন দোকানিরা।এই বিষয়ে চা–বিক্রেতা রতন দাস বলেন, ‘দোকানের আয়ে ৬ জনের পরিবার চলে। রেল ভাড়ার টাকা বাড়িয়েই চলেছে। কিন্তু রোজগার না থাকলে দেব কোথা থেকে? করোনাভাইরাস পরিস্থিতি গিয়েছে। লকডাউন চলেছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তাই রোজগার হয়নি। এখন কী করে সংসার চলবে, বুঝতে পারছি না। রেলের অমানবিকতায় আরও বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’