আকাশছোঁয়া সবজির দর। মাংসের দামও রয়েছে চড়া। এই পরিস্থিতিতে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে সবজি দেওয়াই দায় হয়েছে উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। মালদা জেলার স্কুলগুলির সার্বিক চিত্র এটাই। তবু পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে পরিমাণে কম সবজি দিয়েই কাজ চালাচ্ছে স্কুলগুলি। দাম বেড়ে যাওয়া মালদার বিভিন্ন স্কুলে মাংস দেওয়া বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পড়ুয়াদের পুষ্টির জন্য মিড ডে মিলে সবজির পাশাপাশি আমিষ খাদ্য ডিম-মাংসও দেওয়া হয়। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় সবজি পরিমাণ কমিয়ে মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে স্কুলে। মাঝে মাঝে ডিম দেওয়া হলেও। মাংস প্রায় বন্ধ বলেই অভিযোগ পড়ুয়া ও তার অভিভাবকের। ফলে পুষ্টিতেও ঘাটতি পড়ছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। মালদার এক স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবক বলেন, ‘সবজির দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আগে মাংস দেওয়ায় হতো। তার জন্য বাচ্চারা স্কুল যেতে আগ্রহ দেখাত। দাম বেড়ে যাওয়া মাংস দেওয়াও বন্ধ হয়েছে। সবজির পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে স্কুল। ’স্থানীয় বাল্যবালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গীতালি মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ছাত্রীরা আমাদের জিজ্ঞাসা করছে কেন মাংস দেওয়া হচ্ছে না? আমরা সরকারের নির্দেশ না এলে কিছু করতে পারব না। রাজ্য সরকারের তরফে ১৬ সপ্তাহের যে নির্দেশ ছিল সে অনুযায়ী কাজ হয়ে গিয়েছে। এর পর যদি অর্ডার না আসে আমাদের কিছু করার নেই। সরকার যদি অর্ডার দেয় তবে আমরা আবার দেব।’ শিক্ষিকা জানান ভাল সবজি থাকলে পডুয়ারা খুশি মনে খায়। একই বক্তব্য স্থানীয় অন্য একটি স্কুল শিক্ষিকারও। তিনি জানান তাঁদের স্কুলেও দীর্ঘদিন ধরে চিকেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।এক অভিভাবক বলেন, ‘আগে প্রতি বুধবার চিকেন দেওয়া হতো। প্রায় দুমাস ধরে তা দেওয়া হচ্ছে না। মাংস হলে বাচ্চা আগে আগ্রহ নিয়ে স্কুলে আসত।’কবে নতুন করে নির্দেশ আসবে? মিড ডে মিলের টাকা বাড়ানো হবে কিনা? সে সস্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অন্ধকারে। সবজির পরিমাণ কমে যাওয়া, মাংস বন্ধ হওয়ার ফলে পড়ুয়াদের পুষ্টিতেও ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।