রাজ্যে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে যে সব বার্থ সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়েছে তার বেশিরভাগই জারি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছি পঞ্চায়েত থেকে। গোয়েন্দা বিভাগের এই দাবি খারিজ করে পঞ্চায়েত প্রধান মাধুরী মণ্ডল জানিয়ে দিলেন, যে সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়েছে তার সঙ্গে যোগ নেই পঞ্চায়েতের।
কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান মাধুরী মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে চিঠি এসেছিল। আমরা সেই চিঠির উত্তর দিয়েছিলাম। চিঠিতে সাব রেজিস্টার হিসাবে মধু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু কদম্বগাছি পঞ্চায়েতে মধু মণ্ডল নামে কোনও সাব রেজিস্টার নেই। পঞ্চায়েত এই দুর্নীতিতে জড়িত নয়। পঞ্চায়েত এব্যাপারে কিছু জানে না। আমরা ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। নিজেরাও খতিয়ে দেখছি। যারা এই কাজ করছে তারা যেন ধরা পড়ে।’
ওদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত বিভিন্ন স্কুল থেকে জারি করা সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করেছেন অনেকে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ছাত্র হিসাবে স্কুল থেকে নাম রেজিস্টার করা হয়। এর পর মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড চলে আসে স্কুলে। সেই অ্যাডমিট কার্ডকে পরিচয়পত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অনেক স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস সার্টিফিকেটও দেওয়া হয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের।