রাজ্য সরকারের প্রকল্পে কাজ করলেও কোনও রকম সামাজিক সুরক্ষা পান না তাঁরা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের আওতায় কাজ করা সমস্ত কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে এই প্রকল্পে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। এদের মধ্যে অস্থায়ী চিকিৎসক, আধিকারিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতার কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারকে যুক্ত করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু ও অঙ্গহানীতে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য বিমা করে দেওয়া হবে। অসুখ-বিসুখে যাতে তাঁরা অর্থ সাহায্য পান সেই ব্যবস্থাও রাখা হবে। যাঁঁদের ইতিমধ্যে বিমা করা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ‘টপ আপ’ ভরে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্র জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে এই কর্মসূচি চালু করা হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রকল্পের এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট বা ইওআই জারি করা হয়েছে। দীপাবলির পরই এই প্রকল্প চালু করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
(পড়তে পারেন। জলে ডুবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যু হয় সুন্দরবনে)
আয়ূষ মেডিক্যাল অফিসার্স আরবিএসকে অ্যাসোসিয়েশন-সহ প্রকল্পের একাধিক কর্মী ও চিকিৎসক সংগঠন এই দাবি তুলেছে। দেখা যাচ্ছে অস্থায়ী কর্মীদের কারও কারও দুর্ঘটনা ও অসুখ-বিসুখজনিত কারণে মৃত্যু হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে অঙ্গহানীর ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু তাঁরা সামাজিক সরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকলেও কোনও ধরনের সাহায্য পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং প্রকল্পের অধিকর্তাদের একাধিক চিঠিও দেওয়া হয়। এবার সরকার তাদের দাবি মেনে প্রকল্পের চিকিৎসক-সহ সমস্ত অস্থায়ী কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতার আনা হচ্ছে।