ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল। যেখানে ফোন করে জনগণ সরাসরি তাঁদের সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন। এই কর্মসূচির লক্ষ্যই ছিল, অভিযোগ পেয়েই দ্রুত সমাধান করা। এই হেল্পলাইন নম্বর উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছিলেন, বাংলার মানুষজন ফোন করে তাঁদের এলাকার সমস্যার কথা জানাতে পারেন। আমরা সমাধান করব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। একাধিকবার প্রশাসনে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। অফিসারদের বলেও মেলেনি সুরাহা। অগত্যা ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’কে অভিযোগ জানালেন গ্রামের বাসিন্দারা। তারপরই শুরু হল জোর তৎপরতা। কারণ গ্রামীণ মানুষের সেই অভিযোগ পেয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় ২০০টি বেহাল রাস্তার তালিকা তৈরি করল জেলা পরিষদ। আর তা পাঠানো হচ্ছে নবান্নে। কারণ রাস্তাগুলির রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। তাই এখন রাস্তা সংস্কারের আশায় বুক বাঁধছে গ্রামের মানুষজন।
এদিকে ইতিমধ্যেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি চালু হয়েছে। মানুষজন যাতে সরাসরি তাঁদের সমস্যা জানাতে পারেন তার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল। যেখানে ফোন করে জনগণ সরাসরি তাঁদের সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন। এই কর্মসূচির লক্ষ্যই ছিল, অভিযোগ পেয়েই দ্রুত সমাধান করা। এই হেল্পলাইন নম্বর উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছিলেন, বাংলার মানুষজন ফোন করে তাঁদের এলাকার সমস্যার কথা জানাতে পারেন। আমরা সমাধান করব।
অন্যদিকে জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’কে ফোন করে এলাকার বেহাল রাস্তার কথা জানান গ্রামবাসীরা। আর রাস্তার নামের তালিকা তৈরি করে জেলা পরিষদে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ–সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বেহাল রাস্তার তালিকা পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকায় থাকা রাস্তা রাস্তাশ্রী–পথশ্রী কোনও প্রকল্পের অধীনে সংস্কার হবে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ এলেই সেগুলি সংস্কারের তোড়জোড় করা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই গ্রামীণ রাস্তা যে বেহাল তা ফোন করে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, এখানে আসা সমস্ত অভিযোগই খতিয়ে দেখেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নজরে আসতেই রিপোর্ট তলব করেন তিনি। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে এমনিতেই সারাবছর একাধিক রাস্তা তৈরি করা হয়। রাস্তাশ্রী–পথশ্রী প্রকল্পে পাঁচশো রাস্তা সংস্কার করার কাজ চলছে। তবে আরও অনেক রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। মানুষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন। আশা করছি, দ্রুত সংস্কার হবে।’