উত্তরবঙ্গে গড়ে তোলা হবে মিষ্টিহাব। এছাড়াও একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট গড়ে তোলা হবে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্যোগপতি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। সেই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু মিষ্টি ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে উত্তরবঙ্গে একটি মিষ্টির হাব তৈরি করার প্রস্তাব রাখেন। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন মন্ত্রী। এ নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২ বার ফেল করার পরও মিষ্টি হাব চালুর তোড়জোড় প্রশাসনের, আশঙ্কায় ব্যবসায়ীর
এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী অরূপ রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ, মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। এদিন এই বৈঠকে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে একটি মিষ্টি হাত তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় মন্ত্রীকে। মিষ্টি ব্যবসায়ীদের একটি দল এই প্রস্তাব দিয়েছে। অরূপ রায় জানান, সেই বিষয় নিয়ে বৈঠকের পরও আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এটা করা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দক্ষিণবঙ্গের যেমন মিষ্টি হাব হয়েছে উত্তরবঙ্গেও সেরকম মিষ্টি হাব করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী এক বা দু মাসের মধ্যে যারা প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তার আগে দফতরে আলোচনা হবে।’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘কেবল মিষ্টি হাবই নয় উত্তরবঙ্গে একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। উত্তরবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ভুট্টা চাষ হয়। আর ভুট্টা থেকেই পশু, পাখি, মাছের খাবার থেকে শুরু করে বেবি ফুড এবং আরও অন্যান্য খাদ্য তৈরি হয়। অথচ এগুলি প্রক্রিয়াকরণের জন্য পাঠানো হয় অন্য রাজ্যে। সেগুলি প্রক্রিয়াকরণের পর এরাজ্যে ফিরে আসে। আমাদের রাজ্যে এটা করতে করতে পারি না। সেই কারণে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম।’ ভুট্টা ছাড়াও আনারস, আম, টোমাটো সহ বিভিন্ন ফল, সবজি ইত্যাদি নিয়ে প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর পাশাপাশি কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিয়েও তৎকালীন বাম সরকারকে আক্রমণ করেন মন্ত্রী। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আগে কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পেত না, তাদের অর্ধাহারে বা অনাহারে থাকতে হত। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার আসার পর থেকে চাষিরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। সেই ভাবনাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দফতর উদ্যোগ নিয়েছে। এর পাশাপাশি অর্কিড চাষ কীভাবে বাড়ানো যায় সে নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।