বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদ করতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে রেল। আর এবার মালদায় রেলের তরফ থেকে চলল উচ্ছেদ অভিযান। বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল দলীয় কার্যালয় ও ক্যাম্প। যার মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুনে অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির কার্যালয়। এছাড়াও, ১৫০-র বেশি অবৈধ জবরদখল চিহ্নিত করেছে রেল। ধাপে-ধাপে সেগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ব্যর্থ হলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে, বলল হাইকোর্ট
শনিবার রেলের তরফে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় মালদার ঝলঝলিয়া এলাকায়। তৃণমূলের কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুন হয়েছিলেন কয়েক মাস আগে। সেই খুনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে বহিষ্কৃত তৃণমূল টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে। যদিও বর্তমানে তিনি এই অভিযোগে জেলে রয়েছেন। টাউন সভাপতি থাকার সময় রেলের জায়গা দখল করে দলীয় কার্যালয় গড়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। রেলের দাবি, ওই কার্যালয় রেলের জায়গায় অবস্থিত। সেই দলীয় কার্যালয়টি তৃণমূলের পার্টি অফিস হিসেবে আগে ব্যবহার করা হতো। এদিন বুলডোজার চালিয়ে ওই কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় রেল।
জানা যাচ্ছে, কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এবং বাধা এড়াতে এদিন প্রচুর সংখ্যক আরপিএফ এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এই অভিযানের সময়। উচ্ছেদ অভিযানে নেমে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঝলঝলিয়া এলাকার ওই কার্যালয়টি। সেইসঙ্গে আরও একটি ক্যাম্প অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। এদিন রেলের উচ্ছেদ অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই ক্লাব নিয়ে অভিযোগ আসছিল স্থানীয়দের। রেলকে সেই বিষয়ে জানানো হয়েছিল। তাই ক্লাব ভেঙে দেওয়ার রেলের এই পদক্ষেপ সমর্থনযোগ্য।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল ১৫০-রও বেশি অবৈধ জবরদখল চিহ্নিত করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ধাপে-ধাপে সেগুলি উচ্ছেদে অভিযান চলবে। তানিয়ে অবশ্য সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই রেলের জায়গায় বহু মানুষ বসবাস করে আসছেন এবং নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ফলে তাঁদের পুনর্বাসন না করেই উচ্ছেদ করা হলে তৃণমূল প্রতিবাদ জানাবে।