তাঁকে এতদিন পুলিশ থেকে শুরু করে সিআইডি তলব করত। এবার তাঁর জামাইকেও তলব করল সিআইডি। আর এই খবর জানতে পেরেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন ব্যারাকপুরের বাহুবলী নেতা। একদা সাংসদ ছিলেন। এখন শুধু বিজেপি নেতা। হ্যাঁ, তিনি অর্জুন সিং। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সিআইডি স্ক্যানারে রয়েছেন। তাঁর জামাইও এখন সিআইডি থেকে ডাক পেয়েছেন। কো–অপারেটিভ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে যায় অর্জুন সিংয়ের। যা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। এবার ভাটপাড়া নৈহাটি কো–অপারেটিভ মামলায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের জামাইকে তলব করল সিআইডি।
কবে ডাকা হয়েছে জামাইকে? আগামী ৫ মে অর্জুন সিংয়ের জামাইকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে। যদিও অর্জুন সিং এই তলবের নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন। ভাটপাড়া নৈহাটি কো–অপারেটিভ দুর্নীতি মামলায় অর্জুন সিংয়ের জামাইকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে। সিআইডি তলবে বিজেপি নেতার জামাই সাড়া দেবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে চমকাতে চাইছেন। আমিও পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই এভাবে আমাকে চমকানো যাবে না। আমার পরিবারের লোকজনও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রখর রোদে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় অসুস্থ পরীক্ষার্থীরা, শিয়ালদা হোমিওপ্যাথি কলেজে তুলকালাম
জামাইকে তলব করার কারণ কী? অর্জুন সিংয়ের জামাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এবং দুর্নীতি করেই টাকাকড়ি হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের বেশ কিছু নথি সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতেই অর্জুন সিংয়ের জামাই কে তলব করেছে সিআইডি। যে তথ্যপ্রমাণ আছে তার সত্যতা কতটা সেটা যাচাই করতে এই তলব বলে জানা গিয়েছে। আবার গত ২৬ মার্চ রাতে জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে শ্রমিকদের মধ্যে গোলমাল হয়। তখন অর্জুন সিং কয়েকজনকে নিয়ে মেঘনা মোড়ে পৌঁছন। তখন অর্জুন সিং অভিযোগ তোলেন, দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অর্জুন সিংকে তলব করে বারাকপুর কমিশনারেট। তিনি হাজিরা দেননি।
আর কী জানা যাচ্ছে? অর্জুন সিং হাজিরা না দেওয়ায় ভাটপাড়ার মজদুর ভবনে গিয়ে প্রাক্তন সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। তার পরই ব্যক্তিগত কাজে অর্জুন সিং ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন। ওই ঘটনায় ব্যারাকপুর আদালতে মামলা ওঠে। বিচারক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দেন। তড়িঘড়ি তখন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অর্জুন সিং। সেখান থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে স্বস্তি পান। বারবার অর্জুনকে পুলিশ তলব করলেও সাড়া দেননি বলে অভিযোগ। তবে জামাইয়ের অ্যাকাউন্টে দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে বলে তথ্য পেয়েছেন সিআইডির অফিসাররা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কী হয়।