
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কলকাতার নির্মাণ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের লক্ষ্যে প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে রাজারহাট–নিউ টাউনের পাথরঘাটায়। কলকাতা পুরসভায় নির্মাণ বর্জ্য ওই প্ল্যান্টে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এই প্ল্যান্টের দৈনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা রয়েছে ৫০০ টন। অথচ সেখানে নিয়মিত বর্জ্য পৌঁছাচ্ছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে। কোনও-কোনও দিন এক টন বর্জ্যও পৌঁছচ্ছে না। এই অবস্থায় মাঝেমধ্যেই প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মাসচারেক আগে সেটি উদ্বোধন করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থায় প্ল্যান্টে নির্মাণ বর্জ্য না পৌঁছানোয় উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে তৈরি করা হবে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পার্ক
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ বর্জ্য উৎপাদিত হয়। মুম্বইয়ে ও চেন্নাইয়ের পরেই কলকাতার স্থান। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে দূষণ ঠেকাতে ওই প্লান্ট তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার প্ল্যান্টের রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থা প্রতি টন পিছু ৩৬৯ টাকা করে পেয়ে থাকে পুরসভার কাছে। সেই হিসেবে বছরে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা দেবে পুরসভা।
প্রশ্ন হচ্ছে, এত বর্জ্য উৎপাদিত হওয়ার পরও সেগুলি কোথায় যাচ্ছে? পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, বর্জ্য উৎপাদক নির্মাণ বর্জ্য সরানোর জন্য পুরসভাকে টাকা দিয়ে থাকে। অথচ বাইরের কোনও সংস্থা সেই বর্জ্যের পরিবর্তে উৎপাদককে টাকা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ সেই বর্জ্য বিক্রি করে থাকেন উৎপাদক। এই অবস্থায় পুরসভার হাতে টাকা দিয়ে বর্জ্য তুলে দেওয়ার পরিবর্তে বর্জ্য বিক্রি করার ওপরে বেশি আগ্রহী উৎপাদকরা। যার ফলে অনেক সময় পুরকর্মীদের খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবেই তাতে প্রভাব পড়ছে ওই প্ল্যান্টে।
সাধারণত কোনও বিল্ডিং বা নির্মাণ ভেঙে ফেললে সেক্ষেত্রে বিল্ডিং বিভাগের তরফে খবর দেওয়া হয় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে। এরপর কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তরফে সেই নির্মাণ বর্জ্য তুলে নিয়ে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় প্লান্টে। এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, সবসময় বিল্ডিং বিভাগের তরফে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে জানানো হয় না। অথচ এই দাবি অস্বীকার করেছে বিল্ডিং বিভাগ।
তাহলে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট কীভাবে চলবে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, মেয়র ঘোষণা করেছিলেন, শহরের নির্মাণ বর্জ্য বাধ্যতামূলকভাবে প্লান্টে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় বর্জ্য উৎপাদকে জরিমানা করা হবে। কিন্তু তারপরেও নির্মাণ বর্জ্য না পৌঁছনোই পরিবেশকর্মীরা মনে করছেন এ বিষয়ে পুরসভাকে আরও কঠোর হতে হবে। এ বিষয়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার দাবি করেছেন, বর্ষার সময় নির্মাণ ভাঙার কাজ কম হয়। বর্ষা কেটে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বর্জ্য পৌঁছবে প্লান্টে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports