কৃষ্ণনগরের গুরগুরিয়া নদীর উপর কাঠের সেতু দেখে এসেছে দুটি গ্রামের বেশ কয়েকটি প্রজন্মের বাসিন্দারা। কিন্তু সেটার কোনও উন্নয়ন হয়নি। ওই কাঠের সেতু কালের গতিতে এবং প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ সহ্য করে তা এখন ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। তার উপর সামনে বর্ষা আসছে। তখন যদি কোনও কারণে কাঠের পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে তাহলে দুই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এই আশঙ্কা থেকেই গ্রামবাসীরা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর তাঁর উদ্যোগেই রাজ্য সরকার এখন পাকা সেতু করার পদক্ষেপ করেছে।
এদিকে ১০০ বছরের পুরনো ভগ্নপ্রায় এই কাঠের সেতু। সেটিকে পাকা করা হচ্ছে। সেচ দফতর তা করতে বরাদ্দ করেছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তার জেরে কাঁচা সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকির পারাপারের দিন শেষ হয়ে যাবে। আর নাকাশিপাড়া ব্লকের মুড়াগাছা এবং কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের সাধনপাড়ার কয়েক হাজার মানুষের উপকার হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল সেটা আরও ভাল হতে চলেছে। এতে উপকৃত হবেন দুই গ্রামের গ্রামবাসীরা। এই কাজের শিলান্যাস করেন নাকাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কল্লোল খাঁ। বিধায়কের প্রস্তাব এবং উদ্যোগেই এই সেতুর কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের জামাইকে সিআইডি তলব করল, তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন বাহুবলী নেতা
নাকাশিপাড়া ব্লকের মুড়াগাছা পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী গুরগুরিয়া। নদী এখন খালে পরিণত হয়েছে। তার উপরে অবস্থিত ১০০ বছরের পুরনো শাল কাঠ দিয়ে গড়ে ওঠা সেতু। আর এটাই এই গ্রামের মানুষের যাতায়াতের বড় ভরসা। এই পুরনো কাঠের সেতুটি ব্যবহার হলেও মেরামত না হওয়ায় বেহাল হয়ে পড়েছিল। সেতুটির ধারের অনেকটা অংশ ভেঙে পড়েছিল। ওই সেতুর উপর দিয়ে চারচাকার গাড়ি যেতে পারে না। এই বিষয়ে বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, ‘এই এলাকার মানুষের বহুদিনের দাবি ছিল, মুড়াগাছার কাঠের সেতুকে পাকা করার। এই সেতু দিয়ে দুই গ্রামের বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তাই দু’বছর আগে এখানে পাকা সেতু করার প্রস্তাব দিই। তাই সেচ দফতর এই পাকা সেতু নির্মাণ করছে। দ্রুত এই কাজ শেষ হবে।’
তাছাড়া এই সেতু দিয়ে হাঁটাচলা করাও অত্যন্ত বিপজ্জনক। কাঠের সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছিলেন গ্রামবাসীর। এই সেতু মুড়াগাছা এবং কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের সাধনপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম লাইফলাইন। এই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাখালগাছি, বামুনপাড়া এলাকার মানুষজনের যাতায়াত এই সেতুর উপর নির্ভরশীল। সেতুটি ভেঙে পড়ার দশা দেখে পাকা করার দাবি জানান এলাকাবাসী। তাই বিধায়ক কল্লোল খাঁ সেতুটি পাকা করার উদ্যোগ নিয়ে সেচ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠান। সেটাতেই অনুমোদন মিলেছে। এক বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে।