বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা এক শিক্ষিকা ও নয়জন শিক্ষক অনশনে বসেছেন সেন্ট্রাল পার্কের ধারে ধর্নামঞ্চে। এবার রাজ্য সরকারের ওপর আরও চাপ বাড়াতে তাঁরা পথে নামলেন নতুন কৌশলে। অনশন কর্মসূচির মধ্যেই আজ শুক্রবার বিধানসভায় এলেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁদের দাবি, সরকার যদি তাঁদের দাবি না মানে তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে এই আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন: সরকারের ‘সদিচ্ছার অভাব’, মধ্যরাত থেকেই আমরণ অনশনে চাকরিহারা শিক্ষকরা
জানা যাচ্ছে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে দাবি পত্র তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল শিক্ষকদের। সেইমতো শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। স্পিকারের হাতে তাঁরা দাবিপত্র তুলে দেন। তাঁদের বক্তব্য, বিধানসভা অধিবেশন চলছে, এই সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চান তাঁরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশ বারবার ফোন করে, অফিসে ডেকে চাপ দিচ্ছে। এপ্রিলের অভিযানের যেসব ভিডিয়ো ফুটেজ পুলিশের হাতে আছে, সেগুলিতে কতজন শিক্ষক ছিলেন তা স্পষ্ট না, অথচ হয়রানি চলছে। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারকে নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে।
আন্দোলনকারীদের সাত দফা দাবি হল- সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ ও কিউরেটিভ পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ বন্ধ রাখতে হবে। ‘যোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করে তা যাচাই ও প্রত্যয়ন করতে হবে। ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। পুনরায় প্যানেলের মাধ্যমে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। ‘যোগ্য’ চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অবিলম্বে সাক্ষাৎ করতে হবে। এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁদের আবেদন, রায় পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে নিরপরাধদের ন্যায়বিচার দিতে হবে।