বর্ষশেষের দিনে যে ছবি দেখা গিয়েছিল সৈকতনগরীতে, একই ছবি দেখা গেল নতুন বছরের শুরুতেও। নতুন বছরের শুরুর সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র সৈকত দিঘা এলাকায় পর্যটকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কালো মাথায় ছেয়ে গিয়েছে দিঘা সৈকতভূমি। এমনকী জনগণকে দেদার মাছ ভাজা খেতে দেখা গেল। পিকনিকের ঢল নেমেছে। থাকল না কোনও কোভিড সচেতনতা। এভাবেই নিউ ইয়ার মুডে মাতল পর্যটকরা। ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই এই ভিড় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।এই পরিস্থিতিতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। বারবার সচেতন করা হচ্ছে পুলিশ–প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে তারপরও ২০২২ সালের প্রথম দিনও দিঘায় কোভিড বিধি উধাও। অধিকাংশ মানুষের মুখেই নেই মাস্ক। এই পরিস্থিতি দেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাগাতার মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। এমনকী কোভিড–বিধি না মানলে গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিঘা পুলিশ। এদিকে মাস্ক ছাড়া সমুদ্র সৈকত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখলে পুলিশ ধমক দিচ্ছে। গোটা সৈকত ঘিরে ফেলা হয়েছে। তার মধ্যেও অনেকে সমদ্রে নেমে বেলাগাম হয়ে পড়ছেন। তবে ভিড় দেখে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সচেতনতা এবং নতুন বছরের নতুন দিনের আনন্দ উপভোগ করতে সমুদ্র সৈকতে জমজমাট ভিড় পর্যটকদের।উল্লেখ্য, শুক্রবার বর্ষশেষের দিনে মন্দারমণি–দিঘা থেকে ৩০ জন পর্যটককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবার অনেক পর্যটককে আটক করার পর সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘রাত ৮টা পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ শনিবার পর্যটকের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ১ জানুয়ারি সকাল থেকেই দিঘার সৈকতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড় আরও বাড়ে। আর এতেই ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের।