দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ভারী যান চলাচল করে থাকে। আর সেই চাপ এবার কমাতে পরিবহন দফতর তৈরি করল আরও একটি রোরো ভেসেল। শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই রোরো ভেসেল চালানো হবে। এটাই বিকল্প পরিবহনের ভাবনা রাজ্য পরিবহণ দফতরের। রোরো ভেসেলের মাধ্যমে পণ্যবাহী ভারী ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহন দ্রুত গঙ্গা পার করানো হবে। আজ, সোমবার শালিমার জেটি ঘাটে একটি নতুন রোরো ভেসেলের উদ্বোধন করে জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আজ যে ভেসেলটি উদ্বোধন করা হয়েছে সেটা গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগরের আগে এটি দ্বিতীয় রোরো ভেসেল। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশেষ ভেসেল তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী রবীন্দ্র সেতু এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ভারী যান চলাচলের চাপ কমাতেও এমন রোরো ভেসেল চালানোর ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এই রোরো ভেসেলের মাধ্যমে দ্রুত গঙ্গা পার করানো হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘একমাস আগে শালিমার একটি রোরো ভেসেল গড়ে তুলেছে। সেটি গঙ্গাসাগরের জন্য দিয়েছি। আরও একটি রোরো ভেসেল আনা হল। এতে গাড়ি তুলে নদী পারাপার করিয়ে দেওয়া যাবে। তার সঙ্গে যাত্রীও পার হয়ে যেতে পারবেন। মোট ৬টি ট্রাকের সঙ্গে ৫০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: কত রাত পর্যন্ত পাতালপথে পরিষেবা মিলবে বড়দিনে? মানুষের সুবিধায় পদক্ষেপ কলকাতা মেট্রোর
অন্যদিকে পরবর্তীকালে শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই রোরো ভেসেল চালানো হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই দুটি জায়গায় জেটিঘাট তৈরির জায়গা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। রোরো ভেসেলটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। কী এই রোরো ভেসেল? পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আসন্ন গঙ্গাসাগরে মেলার জন্য সাগরে নিয়ে যাওয়া হবে রোরো। মেলা শেষ হলে শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই ভেসেল চালানো হবে। কারণ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর গাড়ির চাপ বাড়ছে। অনেক সময় যানজট হচ্ছে। পরিবহন দফতর রোরো সার্ভিসের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। রোরো ভেসেলে করে বড় ট্রাক, গাড়ি গঙ্গা পারাপার করতে পারবে। পরে রায়চক থেকে কুকরাহাটি পর্যন্ত রোরো পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।’