যে ঘটনা ঘটে বিয়ের মণ্ডপে সেই ঘটনাই ঘটল হরিণঘাটার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই ঘটনা শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেই কনের সাজে সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধ্যাপিকা। তিনি আবার বিভাগীয় প্রধান। আর তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। এই ঘটনা নিয়ে গোটা ক্লাসে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার প্রমাণ হিসাবে কেউ কেউ ভিডিয়ো করেন। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ায় এখন গোটা রাজ্যে তা চর্চিত হয়েছে।
অধ্যপিকাকে বিয়ে করার ঘটনার সাক্ষী ছিল ক্লাসের অন্যান্য পড়ুয়ারা। ছাত্রীরাও সেটা দেখেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ম্যাকাউট’–এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের এই ঘটনায় এখনও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জটলা করে আলোচনা হচ্ছে। অনেকে রসিকতা করে বলছেন, অধ্যাপিকাকে বিয়ে করলে নম্বর ভাল মিলবে। সংসার এবং পঠনপাঠন একছাতার তলায়। এইসব রসিকতার মধ্যেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জেরে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এবার বাংলায় পা রাখছেন ভুটানের রাজা, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আর কারা আসছেন?
প্রথম বর্ষের ছাত্রের হাতে সিঁদুর পরলেন কেন অধ্যাপিকা? তাহলে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই ছাত্র–শিক্ষিকা প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে? এই সব প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, বিভাগীয় প্রধান ওই মহিলা অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন শ্রেণিকক্ষের মধ্যে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের সঙ্গে তিনি মালাবদল করলেন? কেন সিঁদুর পরেছেন? সেটা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। আর এই উপাচার্য বলেন, ‘অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান শুধু জানিয়েছেন, এটা তাঁদের পাঠ্যক্রমে থাকা প্রজেক্টের একটা অঙ্গ।’ তাই যদি হবে তাহলে কেন ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হল? প্রশ্ন উঠছে।