পূর্ব মেদিনীপুরের ওড়িশা সীমানা লাগোয়া খাদিকুল গ্রামে প্রবল বিস্ফোরণে পুলিশ ও বাজি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ বাগের বাড়িতে ওই কারখানায় বাজির আড়ালে বোমা তৈরি হত। পুলিশ ওই কারখানা থেকে হপ্তা আদায় করত। এমনকী ঘটনার পরও বাড়ির গোপন কুঠুরিতে বাজি মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ খাদিকুল গ্রামে পর পর বেশ কয়েকটি প্রবল বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয়রা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদেহ ও দেহাংশ। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আরও দেখের খোঁজে বাড়ি লাগোয়া পুকুরে তল্লাশি চলছে।এই ঘটনার পর বিস্ফোরণস্থলে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। তাঁরাই একে একে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাদের সামনে পেয়ে পুলিশ ও বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, বহু বছর ধরে মাঠের ধারে ওই বাড়িতে বেআইনি বাজি কারখানা চলছে। বছর কয়েক আগে পাকাপাকিভাবে ব্যবসা করতে সেখানে পাকা ঘর গাঁথেন কৃষ্ণপদ। সেই ঘরের নীচে রয়েছে গোপন কুঠুরি। সেখানে লুকানো থাকত বারুদ ও বাজি তৈরির অন্যান্য সামগ্রী।তাঁরা জানান, পুলিশ সব জানত। কিন্তু পদক্ষেপ করত না। মাসে একদিন এসে এখান থেকে হপ্তা নিয়ে যেতেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে কৃষ্ণপদর দাপট এতটাই যে কেউ তাঁকে ঘাঁটানোর সাহস দেখাতেন না। যার জেরে উত্তরোত্তর তার শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছিল।তবে পুলিশ যে গত অক্টোবরে কৃষ্ণপদকে গ্রেফতার করেছিল? এক গ্রামবাসী বললেন, পুরোটাই আই ওয়াশ। ওকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছিল নিজেদের পিঠ বাঁচাতে। পুলিশ চার্জশিট দিলেও কয়েক মাসের মধ্যে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত। তার পর মাস ছয়েক গড়াতে না গড়াতে ফের কারখানা খুলে বসে।আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এখানে বাজির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সবাই জানে। পুলিশের সঙ্গে এদের বোঝাপড়া আছে।