বুধবার এগরায় বিস্ফোরণস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বৃহস্পতিবার সেই এগরাতেই গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি কার্যত বিনা বাঁধাতেই এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।এদিকে বুধবারই এগরায় গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া। শুনেছিলেন চোর চোর স্লোগান। কার্যত তাড়া খেয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তবে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতাদের তেমন কোনও পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। তাঁরা এলাকায় গিয়ে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন।গোটা গ্রাম কার্যত থমথমে হয়ে গিয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন। কিন্তু স্থানীয়দের ক্ষোভ কিছুতেই কমছে না। স্বজনহারা বাড়িতে এখনও কান্নার রোল। এদিন বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, যে ধরনের ধারা দেওয়া হয়েছে, আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম, সাধারণ পাড়ায় মারপিট করলেও এর চেয়ে কঠিন ধারা দেওয়া হয়। আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে এর থেকে কঠিন ধারা আমাদের দেওয়া হয়। পুরো সমাজবিরোধী কাজ হয়েছে। বলছে ২২জন মারা গিয়েছেন। এর আগেও ওরা অপরাধ করেছে। এত বড় বিস্ফোরণ হল আর কোথাও বিস্ফোরণের ধারা নেই। দুমাস বাদে জামিন পেয়ে চলে আসবে। আবার বিজনেস শুরু হয়ে যাবে। আমার মনে হয় এখানকার রাজ্য সরকার ও পুলিশ চাইছেন এই ধরণের কাজ বন্ধ না হোক। পরোক্ষে ওরা সাপোর্ট করছেন। ঘটনা ঘটার পরেই দোষী কে, কার দায় এসব না দেখেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে দিচ্ছেন। তিনি নিজের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন।এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। কিন্তু কীভাবে সেখানে এত বড় বিস্ফোরণ হল তার এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। সেখানে বোমা নাকি বাজি তৈরি হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এমনকী পুলিশ এতদিন কেন এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিত না তা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠছে। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের খোঁজ মিলেছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশও পুড়ে গিয়েছে।