পাহাড়ের অন্যান্য অংশে এখন জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিপুল পরিমাণ পর্যটক দার্জিলিং যাচ্ছেন বলে খবর। তবে বেশ কয়েকটি উত্তরবঙ্গের ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তা নিয়ে চিন্তায় পড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বাড়তি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মরশুমের প্রথম তুষারপাত দার্জিলিংয়ে
মরশুমের প্রথম তুষারপাত দেখা গেল দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই তুষারপাতের কারণে সান্দাকফু–সহ এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় তুষারপাত হতে শুরু করে। তার জেরে এলাকার রাস্তাঘাট বাড়িতে বরফের স্তর জমে যায়। পেঁজা তুলোর মতো বরফ দেখা যাচ্ছে রাস্তাঘাটে। সাদা বরফের চাদরে ঢেকেছে রাস্তা থেকে হোটেল। ঘূর্ণাবর্তের জেরে সমতলে যখন অকাল বর্ষণ চলছে ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে পর্যটকদের মনে খুশি জোয়ার। তাপমাত্রা নামতেই তুষারপাত দেখল পর্যটকরা। বৃহস্পতিবার শৈলশহরের সান্দাকফুতেও তুষারপাত হয়। আর চুটিয়ে তুষারপাত উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
এদিকে এতটা আশা করেননি পর্যটকরা। ঘুরতেই যান তাঁরা। শীতে দার্জিলিং বেড়াতে যাঁরা এখন গিয়েছেন তাঁরা তুষারপাতের আনন্দ উপভোগ করছেন। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই যে এমন হবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। বড়দিনের প্রায় আড়াই সপ্তাহ আগে এমন ঘটনা ঘটায় খুশিতে মশগুল পর্যটকরা। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু অংশের আকাশ মেঘলা হয়ে আসে। দুপুরের পর শুরু হয় বৃষ্টি। যদিও পরে তা থেমে যায়। আর বিকেল থেকে দার্জিলিং জেলার সান্দাকফু–সহ চন্দ্রু হ্রদে তুষারপাত শুরু হয়। বাড়ির চাল, মাঠ, রাস্তা ঢেকে যায় বরফের চাদরে। গাছের পাতা থেকে গড়িয়ে পড়ে বরফ। এমন নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে মেতে ওঠেন পর্যটকরা।
অন্যদিকে এখন দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৫ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। সান্দাকফু, টাইগার হিল উঁচু জায়গায় হওয়ায় তাপমাত্রা অনেক কম। এদিন তাপমাত্রা কমে হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায়। আর তার জেরেই তুষারপাত শুরু হয় সান্দাকফুতে। সেখানে থাকা পর্যটকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেন। দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের ভিড় নিয়মিত থাকে। কিন্তু নিয়মিত দেখা যায় না তুষারপাত। তাছাড়া এখানে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় দেখা যায়। তাই দেখতেই বারবার ছুটে আসেন পর্যটকরা। তবে এবার ডিসেম্বর মাসে তুষারপাত মেলায় আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আর পাহাড়ের অন্যান্য অংশে এখন জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। এমনকী এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিপুল পরিমাণ পর্যটক দার্জিলিং যাচ্ছেন বলে খবর। তবে বেশ কয়েকটি উত্তরবঙ্গের ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তা নিয়ে চিন্তায় পড়তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বাড়তি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনবিএসটিসি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় চারটি বাড়তি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে মাঝারি বৃষ্টিপাত। বইছে ঠাণ্ডা হাওয়াও। আগামীকাল, শুক্রবারও দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।