আজ, সোমবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বস্তরের কর্তাব্যক্তিদের মেজাজ নিয়ে ধমক দেন। কাজের দীর্ঘসূত্রিতা দেখে তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মানুষের কাজে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দালাল চক্র নিয়ে জেলা প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র ভর্ৎসনা করেন। গোটা সভা যখন তটস্থ তখন হঠাৎই এক ভদ্রলোকের ভুঁড়ি নিয়ে প্রশ্ন করতেই পরিবেশ পাল্টে যায়।
ঠিক কী প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, সোমবার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যানকে দাঁড় করিয়ে সমস্যা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ঝালদার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল দাঁড়াতেই মমতা বলেন, ‘এই আপনার এত বড় ভুঁড়ি কেন?’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সুরেশ জবাব দেন, ‘দিদি, না আমার সুগার আছে, না আমার প্রেশার আছে।’ সুরেশের কিছু নেই শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু তো ডেফিনেটলি আছে। নিশ্চয়ই লিভারটা বড়! কিছু না থাকলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ হয় কী করে!’ বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে সুরেশ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘দিদি আমি রোজ তিনঘণ্টা ব্যায়াম করি।’ ব্যস, ফের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘কী ব্যায়াম করেন? দেখান তো দেখি! এটা তো আপনি প্রাণায়ম করছেন! এটা তো কপালভাতি করছেন! দিনে কত বার করেন?’ সুরেশের জবাব, ‘দিদি, এক হাজার বার!’
তারপর ঠিক কী হল? এই জবাব শুনে তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক হাজার বার? হতেই পারে না। কই এখন করে দেখান তো দেখি!’ সুরেশ অপ্রস্তুত হয়ে বলেন, ‘দিদি, এখন দেখাতে হবে?’ মমতা বলেন, ‘হ্যাঁ, স্টেজে এসে দেখান। এক হাজার বার এটা করতে পারলে আমি আপনাকে দশ হাজার টাকা দেব!’ তখন সুরেশ বলেন, ‘দিদি, এটা বিকেল পাঁচটার আগে করা যায় না!’ এই বলে রেহাই পান।