পূর্ব বর্ধমানবাসীর জন্য সুখবর। দামোদর নদীর উপর একসঙ্গে দু’টি সেতু তৈরি হতে চলেছে। একটি নির্মাণ করবে রাজ্য সরকার, অন্যটি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গড়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই দু’টি প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: নদীতে ভেঙে পড়ল সেতু, পুনেতে বড় বিপর্যয়, বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা, এসেছে বড় আপডেট
জানা গিয়েছে, প্রথম সেতুটি তৈরি হবে শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায়। এর শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বরাদ্দ অর্থও হাতে রয়েছে। দ্বিতীয় সেতু হবে জুজুটি এলাকায়। এটি নির্মাণ করবে কেন্দ্র। খড়্গপুর-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের অংশ হিসেবে সেতুটি তৈরি হবে। প্রথমে জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকলেও প্রশাসনের দাবি, এখন সব মিটে গিয়েছে। জলপ্রকল্প ক্ষতির আশঙ্কাও নেই। কারণ কিছুটা দূরে সরিয়ে সেতু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, আটটি ব্লকের উপর দিয়ে যাবে নতুন জাতীয় সড়ক। ইতিমধ্যেই রাস্তা যেসব মৌজার উপর দিয়ে যাবে, সেগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। জমিদাতাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসে আপত্তি দূর করার চেষ্টা চলছে। সঠিক মূল্য দিয়েই জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের আশ্বাস।
প্রসঙ্গত, সেতু তৈরি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই দাবিই বাস্তব রূপ পেতে চলেছে বলে আনন্দিত এলাকাবাসী। রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা রাখেন। শিল্প সেতুর কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। তবে শুধু এই দু’টিই নয়, কালনা-শান্তিপুর সেতু নিয়েও কাজ এগোচ্ছে। অধিকাংশ জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। যদিও কিছু জমিদাতা এখনও তাঁদের জমি দিতে রাজি নন, তবে জেলা প্রশাসন আশাবাদী এই সমস্যাও দ্রুত মিটবে। জেলাশাসক আয়েশা রানি এ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সমাধান কাছেই। প্রশাসনের মতে, তিনটি সেতু তৈরি হলে শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার মানুষের যাতায়াত আরও সহজ হয়ে যাবে। উত্তরবঙ্গের দিকেও যাত্রা হবে দ্রুততর। এদিকে নতুন জাতীয় সড়ক তৈরির কাজও শুরু হতে চলেছে। রাস্তা নির্মাণের পথে থাকা গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি সরানো নিয়েও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।