বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Minister on PM Awas Yojna Corruption: 'আমি সব বুঝি', বাংলায় আবাস যোজনার দুর্নীতি দেখে মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
পরবর্তী খবর
Minister on PM Awas Yojna Corruption: 'আমি সব বুঝি', বাংলায় আবাস যোজনার দুর্নীতি দেখে মেজাজ হারালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
শুক্রবার কৃষ্ণনগর-১ এবং ২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। সেখানেই প্রশাসনের কর্তাদের সামনে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে অভিযোগের তদন্ত করতে বাংলায় এসেছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। গতকাল নদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। সেই সময়ই একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী। গৃহকর্ত্রীকে সামনে পেয়ে মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, 'দেড় বছরের পুরনো বাড়ির দেওয়ালের লেখা এত চকচক করে?' এরপর মন্ত্রী বলেন, 'আমি সব বুঝি। যেখানে বলার বলে দেব।' (আরও পড়ুন: 'দিদির দূত' আসতেই ঘিরে ধরলেন গ্রামবাসীরা, বীরভূমে MLA-র নামে 'নালিশ' MP-র কাছে)
জানা গিয়েছে, গতকাল যাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে 'চকচকে লেখা' নিয়ে মন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁর নাম পরিমল ব্রহ্মা। তিনি ২০২১ সালে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’য় বাড়ি পেয়েছেন। গৃহকর্ত্রীকে মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, 'কবে বাড়ি পেয়েছেন?' জবাব আসে, 'দেড় বছর আগে।' এরপর 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা' লেখা জায়গাটার দিকে আঙুল দিয়ে মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, 'এ লেখা কবে লেখা হয়েছে?' মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা জেলা প্রশাসনের কর্তারা তখন বলে ওঠেন, 'দেড় বছর আগে'। তখন মন্ত্রী পালটা প্রশ্ন করেন, 'দেড় বছরের পুরনো লেখা এত চকচক করে?'
শুক্রবার কৃষ্ণনগর-১ এবং ২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিকে মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই নিজের অভাব অভিযোগ তুলে ধরেন। এদিকে নবান্নের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের শর্ত মেনে আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করা হলেও বরাদ্দ অর্থ পায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বরাদ্দের ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ দিয়ে থাকে রাজ্য। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রের তরফে একজন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা করা হয়। রাজ্য সেখানে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে।