রাজ্যসফরের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বনগাঁয় পৌঁছতেই প্রাসঙ্গিকভাবে চলে এল CAA লাগুর প্রসঙ্গ। এদিন বনগাঁর হরিদাসপুরে BSF-এর ক্যাম্পে অমিত শাহের কর্মসূচি সেরে বেরিয়ে স্থানীয় সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর জানালেন, আজ কোনও কথা হয়নি। তবে ২০২৪ সালের আগে CAA লাগু হবেই।এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরোতেই শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। জানতে চান, CAA নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না। জবাবে শান্তনু ঠাকুর বলেন, এদিন সরকারি বৈঠক ছিল। আজ এই নিয়ে কোনও কথা হয়নি। আগে যে কথা হয়েছে সেই অনুসারে ২০২৪ সালের মধ্যে CAA লাগু হবেই। তবে কবে তার প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নিয়ে কিছু বলেননি শান্তনু ঠাকুর।গত লোকসভা নির্বাচনে CAA লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। তার পর বছর ঘুরতে না ঘুরতে সংসদে পাশ হয় আইন। এর পর করোনা সংক্রমণ শুরু হয়ে যাওয়ায় CAA কার্যকর করার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়নি বলে দাবি কেন্দ্রের। এই নিয়ে আন্দোলন তৈরি করতে শুরু করেন শান্তনু ঠাকুর। তার জেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঠাকুরনগরে এসে প্রতিশ্রুতি দেন করোনার প্রকোপ কমলেই লাগু হবে CAA. তবে এই নিয়ে এখনো কোনও উচ্চবাচ্য নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। CAA কার্যকর হলে বৈধ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীরা।